১৯ মে ২০২৪, রবিবার



হিলিতে বেড়েছে বেকারি সামগ্রীর চাহিদা

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ০৪ মার্চ, ২০২৪, ০২:০৩ পিএম
হিলিতে বেড়েছে বেকারি সামগ্রীর চাহিদা


দিনাজপুর হিলিতে বেড়েছে বেকারিতে তৈরি কেক, বিস্কুট, ড্রাইকেক, পেটিসসহ বিভিন্ন সামগ্রীর চাহিদা। উপজেলার আনাচে-কানাচে সব দোকানেই এখন বিক্রি হচ্ছে বেকারির তৈরি সামগ্রী। ক্রেতারা বলছেন, এখন আর মানুষ তেলে ভাজা হোটেলের খাবার খুব একটা পছন্দ করে না। আগে যারা সকালে উঠেই হোটেলে গিয়ে পরোটা খেতেন, তাদের অনেকেই এখন বেকারির তৈরি রুটি, কেক, বিস্কুট, ড্রাইকেক, পেটিসসহ অন্যান্য খাবার খাচ্ছেন। 

এদিকে, বিক্রেতারা বলছেন, স্থানীয় বেকারি ছাড়াও ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গার বেকারির ডিলারদের সেলসম্যানরা সকালে এসে পণ্য দিয়ে যান। আবার বিকেলে এসে টাকা নিয়ে যান।  তাদের কোথাও গিয়ে আর এসব পণ্য কিনে আনতে হয় না। বিক্রিও ভালো। 

সোমবার (৪ মার্চ) সকালে  হিলি মাদ্রাসা মোড়ে কথা হয় রুটি কিনতে আসা আব্দুর রহিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আগে আমি নিয়মিত হোটেলে গিয়ে সকালের রাস্তা করতাম। এখন আর যাই না। মাদ্রাসা মোড়ের দোকান থেকেই রুটি কিনে নিয়ে সকালের নাস্তা সারি। পাশাপাশি বাড়ির বাচ্চাতের জন্যও কিছু বেকারি সামগ্রী কিনে নিয়ে যাই।’ 

আব্দুর রহিম আরও বলেন, ‘হোটেলে ভাজা-পোড়া খেতে খেতে পেটে প্রচুর গ্যাস্ট্রিক হয়েছে। তাই এখন বেকারির তৈরি বিস্কুট  বা অন্য কিছু দিয়েই সকালের নাস্তা করি। এতে অর্থও সাশ্রয় হয়। আর ওই টাকা দিয়ে পরিবারের সকালের খাবারও কেনা যায।’

হিলি মাদ্রাসা মোড়ের দোকানদার মো. নাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমি মাদ্রাসা গেটে পান-সিগারেট, সাবানসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রি করি। পাশাপাশি বিভিন্ন বেকারির তৈরি রুটি, কেক, বিস্কুট, ড্রাইকেক, পেটিসসহ অন্যান্য খাবার সামগ্রীও রাখি। এলাকাবাসী ছাড়াও মাদ্রাসার ছাত্ররা আমার দোকান থেকে সকালে আবার অনেকে বিকেলে রুটি, কেক, বিস্কুট, ড্রাইকেক, পেটিস কেনে।’ 

চারমাথা মোড়ের বেকারি সামগ্রী বিক্রেতা নির্মল পাল বলেন, ‘আমি অন্যান্য পণ্য বিক্রির পাশাপাশি কিছু বেকারি সামগ্রী দোকানে রাখি। ঢাকাসহ স্থানীয় বেকারির সেলসম্যানরা এসে সকালে রুটি, কেক, বিস্কুট, ড্রাইকেক, পেটিস দিয়ে যায়। আর বিকেলে এসে টাকা নিয়ে যায়। আমাকে কোথাও থেকে গিয়ে এসব পণ্য নিয়ে আসতে হয় না।’ 

একটি কোম্পানির সেলসম্যান মো. হাবিব হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমি কোম্পানির স্থানীয় ডিলারের সেলসম্যান হিসেবে কাজ করি। মাসে আমার ১ লাখ টাকা পণ্য বিক্রি করতে হয়। আমি ডিলারের বেতনভুক্ত কর্মচারী।’ 

হাবিব আরও বলেন, ‘সকালে ডিলারের দেওয়া ভ্যানগাড়িতে রুটি, কেক, বিস্কুট, ড্রাইকেক, পেটিস নিয়ে বের হই। দোকানে দোকানে দিয়ে বেড়াই। বিকেলে আরেক দফা কালেকশন করে ডিলারের হাতে টাকা বুঝিয়ে দেই। এরমধ্যে কিছু দোকানে বাকিও থাকে। অনেকে আবার পরেরদিন বকেয়াসহ টাকা পরিশোধ করেন।’  




আরো পড়ুন