১৯ মে ২০২৪, রবিবার



টাঙ্গাইলে লাম্পিতে মারা যাচ্ছে গরু

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || ৩১ জুলাই, ২০২৩, ০৪:০৭ পিএম
টাঙ্গাইলে লাম্পিতে মারা যাচ্ছে গরু


টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস। এ রোগের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা না থাকায় লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে বেশিরভাগ বাছুর। এ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর।

জেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হেমনগর, ঝাওয়াইল, হাদিরা, নগদা শিমলা ইউনিয়নে এই রোগ বেশি ছড়িয়েছে। এবার ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট একটু ভিন্ন হওয়ায় বাছুরের আক্রান্তের হার বেশি বলে জানা যায়।

উত্তর বিলডগা গ্রামের ইকবাল হোসেন বলেন, 'আমার গরু কিছুদিন আক্রান্ত হয়েছিল। নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা না থাকায়, পরিচিত একজন প্রাণী চিকিৎসককে দিয়ে ৬ হাজার টাকার চিকিৎসা করিয়ে শেষে আশা ছেড়ে দেই। পরে জেলার ভূঞাপুরের এক প্রাণীসম্পদ চিকিৎসকের চিকিৎসায় আমার গরু সুস্থ হয়। আমাদের গ্রামে অনেক গরু আক্রান্ত। কয়েকদিন আগে আমার বোন জামাইয়ের গরু মারা গেছে।'


বনমালী গ্রামের সুমন মিয়া বাছুরের গায়ে বড় ফোসকা দেখিয়ে বলেন, 'গ্রাম্য একজন প্রাণী চিকিৎসককে ৭শ টাকা ভিজিট দিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছি। এখন পর্যন্ত সুস্থ হচ্ছে না। চারিদিকে গরু মারা যাওয়ার খবর পাচ্ছি। জানি না আমার কি হবে।'

চরচতিলা গ্রামের বিল্লাল হোসেন গোয়ালের বাছুর দেখিয়ে বলেন, 'কয়েকদিন ধরে ভাইরাসে আক্রান্ত বাছুরটি চিকিৎসায় সুস্থ না হয়ে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে। আরেকটি বাছুর কিছুটা সুস্থ হয়েছে।'

গোপালপুর উপজেলা উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (কৃত্রিম প্রজনন) আলমগীর হোসেন বলেন, 'ঝাওয়াইল ইউনিয়নের যতগুলো খামার বা গোয়ালে গিয়েছি তাতে বেশির ভাগ গরু আক্রান্ত দেখেছি। এখন পর্যন্ত প্রায় ৮টি গরু মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। লাম্পি স্কিন ডিজিজের নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা না থাকায়, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর কর্তৃক কৃষক ও খামারিদের সচেতন করতে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে রোগটি সম্পর্কে অবহিত করা হচ্ছে। আক্রান্ত প্রাণীকে পরিষ্কার স্থানে আলাদা মশারীর ভেতর রাখতে বলা হচ্ছে। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হচ্ছে।'

এ প্রসঙ্গে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রানা মিয়া বলেন, 'শুধু গোপালপুরে নয় সারাদেশে প্রায় ৬০ ভাগ গরু লাম্পিতে আক্রান্ত। প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। আগে বড় গরু আক্রান্ত বেশি হলেও এবার বাছুর আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। পক্সের টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে।' চাহিদা অনুযায়ী সরকারি, বেসরকারি টিকার সাপ্লাই একটু কম বলেও জানান তিনি।

ঢাকা বিজনেস/নোমান/এন/



আরো পড়ুন