অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার-১৪২৯ পাচ্ছেন কবি, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক শাহনাজ মুন্নী। গল্প, উপন্যাস ও কবিতায় তার অনন্য অবদানের জন্য তাঁকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে।
‘গল্প আর গুজবের গন্ধে ভরা এই পুরনো শহরের রাস্তায়/বাজপাখি কাঁধে নিঝুম দুপুরে কে যেন হেঁটে যায়/ আমিও যেতে চাই লীলা বিহারে ভয়শূন্যতার আলো গভীরে।’ শাহনাজ মুন্নী তাঁর কবিতায় ক্রুদ্ধ এক অন্ধকারের গল্প বলেছেন, হেঁটেছেন হৃদয়ঘরের বারান্দায়। কলমের মাধ্যমেই সৃষ্টি করেছেন নতুন ভুবন। এই বিশাল পথে তাঁর সঙ্গী শুধুই শব্দ।
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি (২০ মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন কথাসাহিত্যিক, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক এবং কথাসাহিত্যিক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হামীম কামরুল হক। সভাপতিত্ব করবেন পাক্ষিক অনন্যা ও দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন।
শাহনাজ মুন্নী’র জন্ম ১৯৬৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। একদিকে অস্থির, অপরদিকে জাদুময় সময় তখন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের পর পেশা হিসেবে বেছে নেন টেলিভিশন সাংবাদিকতা। কিন্তু একদিকে সামাজিক দায়বোধ থেকে তাঁর পেশাগত জীবন।
এদিকে সামাজিক ঘটনা তাঁকে আলোড়িত করে। সেই তাগাদা থেকে তিনি একের পর এক লিখে চলেন গল্প, কবিতা, উপন্যাস, শিশুসাহিত্য ও প্রবন্ধ। এ পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ২৪। উল্লেখযোগ্য বই হলো, ‘এল ক্রুদ্ধ অন্ধকার’, ‘বাদুর ও ব্র্যান্ডি’, ‘তৃতীয় ঘণ্টা পড়ার আগেই’, ‘পান সুন্দরী’, ‘নির্বাচিত গল্প’, ‘আমি আর আমিন যখন আজিমপুরে থাকতাম’। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩ এ মাওলা ব্রাদার্স থেকে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর উপন্যাস ‘স্নানের শব্দ।
উল্লেখ্য, বাংলা ১৪০১ সন (১৯৯৩ সাল) থেকে অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়েছে। সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিবছর একজন কৃতী নারী-সাহিত্যিক অথবা সাহিত্য-গবেষককে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ঢাকা বিজনেস/এইচ