২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার



বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় পছন্দ বেলজিয়াম

তাজবীর রহমান তারেক || ০৫ জুন, ২০২৩, ১০:৩৬ এএম
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় পছন্দ বেলজিয়াম


বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে পড়াশোনার আগ্রহ আগের তুলনায় অনেক বেশি। তবে অনেক ক্ষেত্রে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা সঠিক দিকনির্দেশনার জন্য ভিসাসহ অনেককিছুতেই বিড়ম্বনার স্বীকার হয়। অনেক সময় তারা সঠিক দেশও পছন্দ করতে পারে না। উচ্চশিক্ষার জন্য দেশ নির্বাচন করা এবং সেই দেশ সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা খুবই জরুরি।  

ইউরোপের দেশ বেলজিয়াম হতে পারে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের দেশ। বর্তমানে বেলজিয়ামের ভিসা প্রদানের হারও অনেক ভালো। এই দেশে শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা বেশ ভালো।  প্রথমেই টিউশন ফি নিয়ে কিছু কথা বলতে হয়। টিউশন ফি শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কারণ অনেক ক্ষেত্রে শুধু এই টিউশন ফি জোগাড় করার জন্য শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনা চালিয়া যাওয়া সম্ভব হয় না।  বেলজিয়ামে ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য এভারেজ টিউশন ফি ৬ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা, যা অন্য অনেক দেশের তুলনায় অনেকটা কম ।  তবে ( Odisee, Vub) এই রকম কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এর চেয়ে কম টিউশন ফি দিয়েও পড়াশোনার সুযোগ দিয়ে থাকে,  সেক্ষেত্রে ইংরেজির দক্ষতার (IELTS) স্কোর একটু বেশি লাগতে পারে।



 মাস্টার্সে পড়াশোনার জন্য টিউশন ফি এভারেজ ১ লাখ টাকার মতো। এরপর আরেকটা প্রশ্ন সবার মনে,  পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের সুযোগ বা কাজ করে নিজের খরচ চালানো সম্ভব কি না? বেলজিয়ামে  আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি,  পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করে নিজের খরচ চালনো সম্ভব।  এখানে মাসে ৮০ ঘণ্টা ট্যাক্স ছাড়া কাজের সুযোগ আছে। স্টুডেন্ট জবের জন্য ১৪.১১ ইউরো প্রতি ঘণ্টার জন্য নির্ধারিত করা আছে।  এভাবে ৬০০ ঘণ্টা ট্যাক্স ফি ছাড়া কাজ করতে পারবে। তবে ৬০০ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে কিছু ট্যাক্স দিতে হবে।  সবমিলিয়ে একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করে নিজের খবর চালাতে পারবে আর বেলজিয়ামে স্টুডেন্ট জব নিয়ে খুব বেশি বিড়ম্বনাতে পড়তে হয় না। 

 এরপরে বেলজিয়ামে শিক্ষার্থীদের বাসস্থান, খাবার ও অনন্য সুযোগ সুবিধা নিয়ে লেখার চেষ্টা করবো।

ঢাকা বিজনেস/এনই



আরো পড়ুন