ভাষার কাজ মানুষের মনের ভাব প্রকাশ করা। কখনো লিখিতরূপে, কখনো মৌখিক। মৌখিকভাবে প্রকাশিত ভাষা সমভাষাগোত্রীয় ও সমনৃগোত্রীয়রা সহজেই বোঝে। তার জন্য শারীরিক ভঙ্গি ও উচ্চারণগত কৌশলই যথেষ্ট। তাতে অর্থের তেমন হেরফের হয় না। কিন্তু লিখিত ভাষায় বানান বড় ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে সমোচ্চারিত শব্দের বানানে যত্নশীল ও সতর্ক না হলে অর্থবিপর্যয় ঘটে অনিবার্যভাবেই। তেমনই দুই জোড়া শব্দ নিয়ে আজকের আলোচনা।
‘সেভাবে’-এর অর্থ হলো, সেই প্রকারে, সেই রকমে। যেমন, তাকে আসতে বলেছি। কিন্তু সেভাবে নিমন্ত্রণ করিনি। অনুষ্ঠানে আসবে কি না বলতে পারছি না।
খ) দেওয়া/ দেয়া
প্রায় বই-পত্রিকায় দেখা যায়, ‘দেওয়া’ শব্দের জায়গায় ‘দেয়া’ প্রকাশিত হয়। হয়তো তারা খেয়াল করেন না বা মানতে চান না ‘দেওয়া’ ও ‘দেয়া’ সমার্থক শব্দ নয়। এমনকি বিপরীতার্থক শব্দও নয়। একটি শব্দের সঙ্গে অন্যটির দূরতম কিংবা নিকটতম সম্পর্ক নেই। ‘দেওয়া’ শব্দের অর্থ হলো প্রদান করা। যেমন, ‘করিমকে তার বেতনের ১০ হাজার টাকা ‘দেওয়া’ হলো।’ আর ‘দেয়া’ অর্থ হলো ‘মেঘ’। যেমন, ‘‘রিমি ঝিম রিমি ঝিম ওই নামিল ‘দেয়া’/ শুনি শিহরে কদম, বিদরে কেয়া।’