কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সুুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার, ছাতক, তাহিরপুর ও জেলা সদরের নিম্নাঞ্চলের বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। এখন একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম নৌকা। সীমান্তের ওপারের মেঘালয় চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় উদ্বেগজনকভাবে বাড়েনি পানি। তবু পানি যতটা না বাড়ছে, তার চেয়ে বেশি আতঙ্কে আছে মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সবার মাথায় কাজ করছে গত বছরের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার দুর্ভোগের কথা। তাই পানি যতটা না বাড়ছে তার চেয়ে বেশি আতঙ্কে আছি আমরা।
জানা যায়, অতিবৃষ্টি ও ৫ দিনের পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ, ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর,তাহিরপুর ও মধ্যনগরের কিছু এলাকায় পানি স্থিতিশীল রয়েছে। ছাতক পৌর এলাকার ইসলামপুর ও নোয়ারাই ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সড়ক ও কিছু ঘর-বাড়িতে পানি উঠেছে। ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাহাড়ি ঢলে দোয়ারাবাজারের সিলাই নদীর রাবার ড্যামের উজানের বামতীরের বাঁধ ভেঙে ঢলের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এই উপজেলার বড়বন্দ, মাইজখলা, শরীফপুর এলাকার ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। এলাকার কিছু প্রাথমিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষেও পানি উঠেছে। সুনামগঞ্জ শহরের সরকারি কলেজের আশ্রয়কেন্দ্রে গৃহপালিত পশুসহ ২৮ পরিবার এসে আশ্রয় নিয়েছে।
ভারতের আসাম চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পাহাড়ি ঢল কম নেমেছে বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ৫০, ছাতকে ৪৭ ও দিরাইয়ে ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার এবং ছাতকের সুরমা নদীর পানি ১৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ‘সুনামগঞ্জ শহরের সরকারি কলেজ, ছাতক ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে ভয়ে ৩৭টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। পানি না বাড়লে সবাই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাবে।’
ঢাকা বিজনেস/এইচ