০৫ জুলাই ২০২৪, শুক্রবার



কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে পিএইচডির অনুমোদন দেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার || ১৯ মার্চ, ২০২৩, ০৬:০৩ পিএম
কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে পিএইচডির অনুমোদন দেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি


কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার যোগ্যতা-সক্ষমতা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি। তিনি বলেন, ‘আমরা ইউজিসির সঙ্গে কথা বলবো, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা তৈরি হয়েছে, তাদের পিএইচডির অনুমোদন দেওয়া হবে। কারও যদি বিশেষ কোনো বিষয়ের ক্ষেত্রে সক্ষমতা থাকে, তাহলে সেগুলোকে বিবেচনা করতে হবে।’ রোববার (১৯ মার্চ) আইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (ইইউবির)এর  ২৩তম সমাবর্তনে তিনি এসব কথা বলেন। 

এদিন বিকাল ৩টায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আইইউবি ক্যাম্পাসে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে সনদ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন এবং আদর্শ সমাজ গঠনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। আমরা চাই একটা 'অন্ট্রাপ্রেনারশিপ  ইকোসিস্টেম' গড়ে তুলতে। যেখানে সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অভিভাবকদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার সুযোগ রয়েছে।’’

 শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোগত এবং গুণগত মান উন্নয়নের কাজ চলছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। দেশের উন্নয়নের প্রয়োজনে আমাদের যে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা অত্যাবশ্যক সেক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।’

দীপু মনি  বলেন, চাকরিগ্রহীতা এবং চাকরিদাতার যে প্রত্যাশা এ দুয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকে। এ দূরত্ব নিরসনে সফট স্কিল অর্জন করতে হবে।  দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দায়িত্ব রয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক পর্যায় থেকে এ শিক্ষা দিতে চাই যাতে এগুলো তাদের চর্চার অংশ হয়ে যায়। আমাদের মডিউলার এডুকেশনে যেতে হবে। এখন পৃথিবী আলোকের গতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে। দশ বছর আগে যে গতিতে পরিবর্তিত হতো এখন আর তা নয়। দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সঙ্গে খাপ খাইয়ে মানিয়ে চলতে হলে আমার মডিউলার এডুকেশনে যেতে হবে।’

এবার সমাবর্তনে অংশ নিয়েছেন ১ হাজার ৪৫৯ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১ হাজার ১৪০ জন স্নাতক ও ৩১৯ জন স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী। এ সময়  ৩ শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর্স গোল্ড মেডেল দেওয়া হয়।

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন