২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



আখের রসের চাহিদা বেড়েছে, দাম বাড়েনি

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ১৯ মার্চ, ২০২৪, ০৫:০৩ পিএম
আখের রসের চাহিদা বেড়েছে, দাম বাড়েনি


দিনাজপুরের হিলিতে রমজানে বেড়েছে আখের রসের চাহিদা। অনেক রোজাদার ইফতারিতে শরবতের বদলে আখের রস পান করেন। আখ পরিষ্কার করে মেশিনে রস নিংড়ে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। হিলির প্রায় প্রতিটি মোড়ে বিক্রি হচ্ছে আখের রস। ক্রেতারা বলছেন, রোজা শেষে তারা ইফতারিতে এই আখের রস পান করেন।  তাই বেড়েছে চাহিদাও। আর বিক্রেতরা বলছেন, তারা নিয়মিতই আখের রস বিক্রি করেন। তবে রমজানে আখের রসের চাহিদা বেড়েছে। তবে দাম আগের মতোই আছে। 

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) কথা হয়  আখের রস কিনতে আসা পৌরসভা এলাকার কালিগঞ্জ গ্রামের মো. ছানোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সারাদিন রোজ থাকার পর রোজাদাররা কেউ কেউ শরবত, স্যালাইনসহ সামর্থ্য অনুযায়ী ইফতার করেন। কিন্তু আমি ইফতারে আখের রস পান করি। এতে পানির তৃপ্তি মেটানোর পাশাপাশি প্রশ্রাব ক্লিয়ার হয়। তাই আমি আখের রস কিনতে এসেছি।’ 

আরেক ক্রেতা মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রতিদিন আখের রস দিয়ে ইফতার করি। আমার সঙ্গে আমার পরিবারও আখের রস দিয়ে ইফতার করে। প্রতি গ্লাস আখের রস ১০  টাকা করে কিনি। রমজানে আমার পরিবারে প্রতিদিন ৪ গ্লাস আখের রস লাগে।’ 

আখের রস বিক্রেতা মো. আতিক বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গা থেকে আখ কিনে এনে মেশিন দিয়ে নিংড়ে রস বিক্রিই আমার পেশা। রমজান মাস ছাড়া অন্য সময়েও আখের রস বিক্রি করি। আগে যেমন ১ গ্লাস আখের রস ১০ টাকা বিক্রি করতাম, এখনো সেই দামেই বিক্রি করছি। তবে অন্য সময়ের চেয়ে রমজান মাসে বিক্রি একটু বেড়েছে। রোজাদাররা ইফতারের জন্য আখের রস কিনছেন।’ 

আতিক আরও বলেন, ‘হিলিতে আমার মতো প্রায় ১০ জন আখের রস বিক্রি করে সংসার চালান। তবে যখন আখ থাকে না, তখন পড়তে হয় বিপাকে। অনেকে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েন। পরে আবারও শুরু করেন আখের রসের ব্যবসা।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/ 



আরো পড়ুন