১৮ মে ২০২৪, শনিবার



লাইফ স্টাইল
প্রিন্ট

সম্পর্ক সুন্দর রাখবেন কীভাবে

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ০৯ মার্চ, ২০২৩, ০৮:৩৩ পিএম
সম্পর্ক সুন্দর রাখবেন কীভাবে


জীবনকে সুন্দর ও রঙিন করে তুলতে পারে একটি সুন্দর সম্পর্ক। তবে,আজকাল নানা রকম পারিপার্শ্বিক সমস্যার কারণে সম্পর্কগুলো যেন জটিলতা আর অশান্তিতে পূর্ণ থাকে। তাই অনেক সময় কী করতে হবে, সেটাই ভুলে যায় অনেকে। আর একসময় গন্তব্য আলাদা হয়ে যায় দুজনের যা কারও কাম্য নয়। চলুন তবে জেনে নিই সম্পর্ক সুন্দর রাখার কিছু উপায়।  

শ্রদ্ধা রাখুন

পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ধরে রাখা সম্পর্ক সুন্দর করার অন্যতম পন্থা। শুনতে সহজ মনে হলেও এ কাজটি বেশ কঠিন। বিশেষ করে, দীর্ঘদিন একসঙ্গে চলার পর পরস্পরের ভেতর-বাইরের সবই যখন জানা হয়ে যায়। অনেক ব্যাপারে দুজনের মধ্যে মতভেদ থাকলেও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ধরে রাখতে হবে।


বিশ্বাস রাখা

সম্পর্কে দুজনের প্রতি দুজনের বিশ্বাস রাখা অত্যন্ত জরুরি। সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে রাখার জন্য অন্যতম হাতিয়ার বিশ্বাস। তাই, সঙ্গীর  ওপর থেকে আস্থা হারাবেন না। 

গুরুত্ব দেওয়া

সম্পর্কের উন্নতিকরণের আরেকটি ধাপ হল একে অপরকে গুরুত্ব দেওয়া । প্রত্যেকের স্বপ্ন ও বিশ্বাসকে মর্যাদা দেওয়া । আমরা অনেক সময় দেখে থাকি, আমাদের প্রিয়জনদের কিছু স্বপ্ন নিয়ে আমরা ঠাট্টা ও বিদ্রুপ করি। কিন্তু, এতে মানুষটি আঘাত যে আঘাত পায় তা আমরা বুঝি না। এভাবেই সম্পর্কের বাঁধন আলগা হতে থাকে। তাই সঙ্গীর কথা মনোযোগ সহকারে শুনে তার আত্মবিশ্বাস ও সক্ষমতাকে গুরুত্ব দিন। তাহলে সম্পর্কের বাঁধন দৃঢ় হবে ।


সমস্যা না রাখা

দুজন নিয়মিত কথা বলুন। যত সমস্যাই হোক, চেষ্টা করুন কোনো কিছু গোপন না করতে। পরস্পরের প্রতি যতটা সম্ভব খোলামেলা থাকুন। সঙ্গীর কথা মন দিয়ে শুনুন। নিয়মিত দেখা করুন। একসঙ্গে সময় কাটান। সেই সময়টা প্রযুক্তির বাইরে পরস্পরের সান্নিধ্যে থাকুন।


প্রশংসা করা

নিজের প্রশংসা শুনতে সবাই ভালোবাসে। তাই প্রিয়জন যদি কোনো কাজ শ্রদ্ধার সঙ্গে করার চেষ্টা করে ,তাহলে তার প্রতিটা পদক্ষেপে প্রশংসা করুন। প্রশংসা করলে তার কর্মক্ষমতা দ্বিগুন বেড়ে যাবে। তার সঙ্গে আপনার সম্পর্কের বিশ্বস্ততা আরও বেড়ে যাবে ।

আপস করা

সুন্দর সম্পর্কের সবচেয়ে পুরোনো, কার্যকর ও কঠিন সূত্র হলো আপস করা। আপনি হয়তো আপনার জন্য শতভাগ উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে পাবেন, কিন্তু শতভাগ আপনার মতো সঙ্গী খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। সব ব্যাপারে দুজনের মতো কখনোই মিলবে না। কাজেই  আপস করতে হবে। এতে ভারসাম্য রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ঝগড়া-বিবাদ

সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি হবে, ঝগড়া হবে। কিন্তু সেগুলো ধরে বসে থাকা চলবে না। যত দ্রুত সেসব ভুলে যেতে পারবেন, ততই মঙ্গল।


স্বাধীনতা দেওয়া

কখনো কাউকে খাঁচায় বন্দী করে রাখা যায় না , যদি না সে থাকতে চায় । জোর করলে কোনো সম্পর্কই টিকে থাকে না । প্রতিটা সম্পর্কের মধ্যে একে অপরকে স্বাধীনতা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি । জোর করে নিজের মতামত চাপিয়ে দেওয়ার ফলে অনেক সম্পর্কই নষ্ট হয়। 


উপহার দেওয়া

ছোট থেকে বড়, কে না ভালোবাসে উপহার পেতে । 'উপহার' বলতেই যে দামি জিনিস তা কিন্তু নয়। ছোট ছোট জিনিস একে অপরকে দিলে সকলেই খুশি থাকে। তাই প্রিয়জনদের উপহার দিন। 


ক্ষমা করা

সবচেয়ে বড় ধর্ম হল ক্ষমার ধর্ম । ছোট ছোট বিষয় নিয়ে অনেকেই দীর্ঘদিন যাবৎ সম্পর্কের প্রাচীর কে করাঘাত করে । অতীতের কোন এক ভুল কে সামনে রেখে বর্তমানের সুন্দর মুহূর্তগুলোকে নষ্ট করে তোলে । একটা 'ছোট' ক্ষমাই পারে সম্পর্কের যাবতীয় মলিনতা মুছে দিতে। সেখানে সূর্যের প্রখর রশ্মির বিচ্ছুরণ ঘটাতে। সমস্ত অন্ধকার কে কাটিয়ে প্রাণে আলোর সঞ্চার করতে। তাই, ছোট ভুলে ক্ষমা চেয়ে নিন। সম্পর্ক ভালো রাখুন। 

যত্ন নেওয়া

সম্পর্ক রক্ষা ও সুন্দর করতে একে অপরকে যত্ন করা প্রয়োজন । একটি গাছ সঠিক যত্নের ফলে সুগন্ধ ছড়িয়ে ফুলে  ফলে যেমন সুশোভিত করতে পারে , তেমনি সম্পর্কের ভীত মজবুত করতে যত্ন নেওয়া চাই ।


ত্যাগ করা

Sacrifice কথাটি প্রায়সই ব্যবহার করি সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে । ছোট ছোট Sacrifice বা ত্যাগ আমাদের সম্পর্ককে দৃঢ় করে। অপরের শ্রদ্ধা ও ভরসা আদায় করে থাকে । সামান্য ত্যাগও সুমধুর সম্পর্কের বৃহত্তর উপহার হয়ে উঠতে পারে । তবে মনে রাখতে হবে, সেই ত্যাগ হবে আন্তরিক-কখনোই তা যেন অহংকারের বিষয় না হয়ে ওঠে ।

ঢাকা বিজনেস/এন/ 



আরো পড়ুন