০২ জুন ২০২৪, রবিবার



ক্যাম্পাস
প্রিন্ট

বৈধ সিটের দাবিতে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

বাকৃবি প্রতিনিধি || ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৩:৩২ এএম
বৈধ সিটের দাবিতে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন


বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বেগম রোকেয়া আবাসিক হলে অবৈধভাবে সিট বাতিলের নোটিশের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন হলের মাস্টার্সের শেষ (থিসিস) সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে হলের সামনের প্রধান সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, স্নাতকোত্তরে যারা আছেন, যারা ডিফেন্স দিচ্ছেন বা দেবেন সবাই হার্ডবাইন্ডিংস জমা দেওয়া ছাড়া বা হল ক্লিয়ারেন্স করা ছাড়া হলের সিট ছাড়বেন না। অফিসের সহকারী খুকি আন্টি সব মেয়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এ ছাড়াও সিট নিয়ে ঝামেলা করেন তিনি। তাই তার  পদত্যাগের দাবি করছি। যদি এখন থেকে হলের নিয়ম পরিবর্তন করা হয়, তাহলে আন্দোলন আরও কঠিন হবে। 

এসময় মেয়েদের সব হলের নিয়ম পরিবর্তন, নোটিশ ছাড়া হলের মেয়েদের সিট ছাড়ার জন্য বাধ্য না করা, হলের সিট সংকট অতি দ্রুত নিরসন করা এবং শিক্ষার্থীবান্ধব প্রভোস্ট চেয়ে মোট ৬টি দাবি করেন তারা।

এসময় বেগম রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আন্দোলনকারী ছাত্রীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী থিসিসের হার্ডবাইন্ডিংস জমা দেওয়া পর্যন্ত আমাদের ছাত্রত্ব বহাল থাকবে। কিন্তু থিসিস জমা দেওয়ার আগেই আমাদের হলের সিট ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ দিয়েছেন প্রভোস্ট। এমনকি আমাদের সিটে অন্য শিক্ষার্থীদের উঠে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি আমাদের সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলেন এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

এ ছাড়াও হলের অফিস সহকারী খুকির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, কোনোরকম কথাবার্তা বা পূর্বাভাস ছাড়াই আমাদের রুমে গিয়ে ২২ তারিখের মধ্যে রুম ছাড়তে বলেন অফিস সহকারী খুকি। আমরা আমাদের সিটের বৈধতার কথা জানালেও আমাদের সিট ছাড়তেই হবে এমনটা বলেন এবং আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।

অভিযোগের ব্যাপারে অফিস সহকারী খুকী বলেন, ‘আমার দাঁতে ব্যথা। আমি এখন কোনো কথা বলতে পারবো না।’ 

এ ব্যাপারে বেগম রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যারা ডিফেন্স দিয়েছে, তাদের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। যারা এখনও ডিফেন্স দেয়নি, তাদের ক্ষেত্রে ডিফেন্স দেওয়ার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন