১৮ মে ২০২৪, শনিবার



লাইফ স্টাইল
প্রিন্ট

মুখের গন্ধ দূর করার উপায় কী?

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৩:৩২ পিএম
মুখের গন্ধ দূর করার উপায় কী?


মুখের দুর্গন্ধের মতো বিব্রতকর জিনিস আর হয় না!কারও সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলতে গেলে বিব্রত লাগে, প্রাণ খুলে হাসতেও ভয়। মুখ ঢেকে কথা বলা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।

মুখে দুর্গন্ধ বা হ্যালিটোসিস মুখের ভেতর ব্যাকটেরিয়া তৈরি হওয়ার কারণে হয়, যা গন্ধ করতে পারে এমন গ্যাস তৈরি করে। সাধারণত আমরা যে খাবার খাই তাতে ব্যাকটেরিয়া শর্করা ও স্টার্চ ভেঙ্গে দিলে গন্ধ উৎপন্ন হয়। আবার দাঁতের প্লাক, দাঁতের ক্ষয়, শরীরে পানির অভাব, পেঁয়াজ খাওয়া-ইত্যাদি মুখে গন্ধ তৈরির জন্য দায়ী।  কিছু ক্ষেত্রে এটি মাড়ির রোগ বা দাঁত ক্ষয়ের মতো গুরুতর দাঁতের সমস্যারও কারণ হতে পারে।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে কিছু ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করতে পারেন। জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়- 

লবঙ্গ

রান্নাঘরে থাকা একটি সাধারণ উপাদান লবঙ্গ। নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ ও মাড়ি ফোলা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে এটি। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমায়। রক্তপাত ও দাঁতের ক্ষয় হওয়ার ঝুঁকি কমায়। নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনি কয়েক টুকরো লবঙ্গ মুখে নিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন।

পানি

দিনে কম পানি পান করলেও মুখের দুর্গন্ধ হতে পারে। পানি মুখ থেকে ব্যাকটেরিয়া বের করে দিতে সাহায্য করে এবং এটিকে রোধ করে। এটি শ্বাস সতেজ রাখতে সাহায্য করে। তাই যদি নিঃশ্বাসে প্রচুর গন্ধ অনুভব করেন তবে দিনে প্রচুর পানি পান করুন। নিঃশ্বাসের গন্ধকে সতেজ করতে পানিতে মিশিয়ে নিতে পারেন লেবুর রস।


দারুচিনি

মিষ্টি স্বাদের দারুচিনিও আপনাকে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে। লবঙ্গের মতো দারুচিনিতেও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমাতে পারে। মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য মুখে দারুচিনির একটি ছোট টুকরা রাখুন। এতে মুখে সৃষ্ট দুর্গন্ধ দূর হবে।

লেবুর খোসা

লেবুর খোসা ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে রেখে দিন। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হলো কাগজি বা কমলা লেবু। তবে পাতি লেবুর খোসাও ব্যবহার করা যায়। মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে বুঝতে পারলে শুকনা লেবুর খোসা চিবান। এতে দুর্গন্ধ থাকবে না।

লবণ-পানির গার্গল

মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে হালকা গরম লবণ-পানি দিয়ে গার্গল করতে পারেন। এটি মুখের খারাপ ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে। মুখের গন্ধকে সতেজ করে তুলতে পারে। এক গ্লাস পানিতে আধা চা চামচ লবণ মেশাতে হবে এবং বাইরে যাওয়ার আগে এটি দিয়ে গার্গল করতে হবে।

মধু ও দারুচিনি

মধু ও দারুচিনি উভয়েরই শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মুখের ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমায়। মাড়িকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। দাঁত ও মাড়িতে নিয়মিত মধু এবং দারুচিনির পেস্ট লাগালে দাঁতের ক্ষয়, মাড়ি থেকে রক্তপাত এমনকি নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধের ঝুঁকি কমাতে পারে। উভয় উপাদানই একেবারে নিরাপদ এবং রান্নাঘরে সহজেলভ্য।


মৌরি

মৌরিতে যে তেল ও ফাইবার থাকে, তা রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। এ ছাড়া এটি শ্বাসের গন্ধ দূর করে মুখের ভেতর মিষ্টি এক ধরনের ঘ্রাণ ছড়িয়ে দেয়। এটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ বলেও বিবেচিত। সব সময় খাওয়ার পর শুকনা ও ভাজা মৌরি খেলে মুখের দুর্গন্ধের সমস্যা অনেকাংশে দূর হয়।

পুদিনাপাতা

একে প্রাকৃতিক মাউন্ট ফ্রেশনার বলা যায়। মুখে গন্ধ হলে ২-৩টি পুদিনাপাতা নিয়ে চিবিয়ে ফেলুন।

নারিকেল তেল

এ তেলে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান নিমিষে গন্ধ সৃষ্টি করা ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে। তাই মুখের গন্ধ দূর হতে সময় লাগে না। এক্ষেত্রে, এক চামচ নারিকেল তেল মুখে নিয়ে ভালো করে কুলকুচা করুন। কম করে ৫ মিনিট করতে হবে। তার পর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। 

ঢাকা বিজনেস/এন/ 




আরো পড়ুন