১৮ মে ২০২৪, শনিবার



যমুনায় বিলীন আশ্রয়কেন্দ্রসহ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি

তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা || ১৭ জুলাই, ২০২৩, ১০:০৭ এএম
যমুনায় বিলীন আশ্রয়কেন্দ্রসহ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি


গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এরইমধ্যে প্রবল স্রোতে উপজেলায় ৩টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ বিভিন্ন পয়েন্টের হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গৃহহীন পরিবারের সদস্যরা জানান, নিজস্ব জমি না থাকায় নতুন করে ঘর তৈরি নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।   

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উজানের ঢলে গত কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। ফলে চরাঞ্চলসহ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্বাংশে অবস্থিত সব গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি নদীর পানির প্রবল স্রোতে সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চলের পাতিলবাড়ি গাড়ামারা, সিপি গাড়ামারা, কানাইপাড়া, নলছিয়া, কালুরপাড়া, কুমারপাড়া, দীঘলকান্দি, হাটবাড়ি, মুন্সিরহাট, গোবিন্দপুরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে হলদিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ৩টি আশ্রায়কেন্দ্রসহ প্রায় ৩০০ পরিবারের ঘরবাড়ি-বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

নদীভাঙা পরিবারের সদস্য মেহেদুল ইসলামসহ কয়েকজন বলেন, ‘ইতোমধ্যে বেশ কিছু ঘরবাড়ি নদীর পেটে চলে গেছে। এছাড়া আরও অনেক পরিবার ঝুঁকিতে রয়েছে। আমাদের যাদের নিজস্ব জমি নেই, তারা নতুন করে ঘর তৈরি নিয়ে চিন্তায় আছি।’ 

সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট বলেন, ‘এবার বর্ষার শুরুতে যমুনা নদীর ভাঙনে গোবিন্দি এলাকার ২৪ পরিবারের বাড়িঘর, বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে।’ 

হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙনে ৩টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রায় ৩০০ বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এসব গৃহহারা লোকজনের বাড়িঘর নির্মাণ করার মতো জমি না থাকায় এবং অর্থাভাবে তারা বিপাকের মধ্যে থেকে দিনাতিপাত করছেন।’ 

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ‘মুন্সিরহাট ক্রসবাঁধের ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়া, ঝুঁকিতে থাকা অন্য এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে।’ 

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন