১৮ মে ২০২৪, শনিবার



‘অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে এসএমই খাতের বিকল্প নেই’

স্টাফ রিপোর্টার || ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৯:১২ পিএম
‘অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে এসএমই খাতের বিকল্প নেই’


প্রতিবেশী দেশগুলোর  যেখানে জিডিপিতে এসএমই খাতে অবদান ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ  সেখানে বাংলাদেশ এখনও ৩০ শতাংশেরও কম বলে জানিয়েছেন এসএমই খাত সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, লার্জ ইন্ড্রাস্ট্রিকে টিকিয়ে রাখতে এবং দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে এসএমই খাতের বিকল্প নেই। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর ) পুরানা পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে  ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘অপরচুনিটিস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ ইন দ্য এসএমই সেক্টর’ শীর্ষক সেমিনারের বক্তারা এসব কথা বলেন। 

সেমিনারে বক্তরা আরও বলেন, এসএমই খাতকে এগিয়ে নিতে ব্যাংকিং ফাইন্যান্সকে সহজতর করা, মার্কেট সম্পর্কে জানতে ও ডকুমেন্টেশন তৈরির জন্য দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দেওয়া, এএসএমই-এর জন্য আলাদা সেল বা মন্ত্রণালয় তৈরি করা ও প্রয়োজনীয় পলিসি সাপোর্ট দেওয়া প্রয়োজন। এসব করা সম্ভব হলে এসএমই খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাবে।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোতে বড় উৎপাদকরা ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজগুলো ছোট উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে কিনে নেয়। ফলে একই শিল্পে ছোট-বড় উদ্যোক্তা তৈরি হয়। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, যেমন টয়োটা গাড়ির ইঞ্জিনটা তৈরি করে, বাকি সব পার্টস বাইরে থেকে তৈরি করিয়ে নেয়। কিন্তু আমাদের দেশে বড়রা ছোটদের সুযোগ দেয় না, তারা নিজেরাই সবকিছু তৈরি করে। অনেক বড় গ্রুপ চানাচুর মুড়িও তৈরি করেন। এই বৈষম্য দূর কর করতে ছোট উদ্যোক্তাদের ব্যাংকের অর্থায়ন দরকার। কিন্তু এসএমই উদ্যোক্তারা প্রয়োজনীয় অর্থায়ন পাচ্ছেন না। এখাতে অর্থায়ন এখনও বড় সমস্যা। প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে অনেক তহবিল থাকলেও প্রকৃত হকদারা তা পাচ্ছে না। যারাই পাচ্ছেন তাদের ইন্টারেস্ট রেটও ১২-১৪ শতাংশ হয়ে যায়।’

ব্যাংক ঋণ না পাওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে বলেও জানান তিনি। এর মধ্যে ব্যাংক যেসব ডকুমেন্ট চায় দক্ষতার অভাবে সেগুলো তৈরি করতে না পারা অন্যতম। দক্ষতার অভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশেও নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয় বলেও তিনি জানান।

ঢাকা বিজনেস/এমএ/



আরো পড়ুন