১৮ মে ২০২৪, শনিবার



সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ

মিজানুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা || ০৬ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৬:৩১ পিএম
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ


চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ক্রমশ নিচের দিকে নামছে। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) থেকে চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। সূর্য্যরে দেখা মিললেও উত্তাপ না থাকায় এবং হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে তীব্র শীতের অনুভূতি বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ। সন্ধ্যা থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে গোটা জনপদ, যার ফলে স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। এদিকে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শীতের সঙ্গে জেলায় ঠাণ্ডাজনিত রোগও বাড়ছে।  

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারী) সকাল ৬ টায় রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। গত বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আদ্রতা শতকরা ৯৯ ভাগ রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) থেকে এ জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ শৈত্যপ্রবাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সদর হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই ৩০ থেকে ৪০ জন শিশু এবং বৃদ্ধ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে। আর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৬ মাস বয়সী ৩০-৩৫ শিশু ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর পাশাপাশি কীভাবে এই ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে বাঁচা যায় সেজন্য নিয়মিত রোগীদের পরামর্শ দিয়ে চলেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, শীতে শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বাড়তি সর্তকতা অলম্বন করতে হবে। কয়েকদিন ধরে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র শীতে বেশিভাগ মানুষ নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এসব রোগীদের চিকিৎসা এবং সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। টাটকা ও গরম খাবার খাওয়াতে হবে। কোনোভাবেই বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। পানি ফুটিয়ে পান করাতে পারলে ভালো। আর শিশুদের সকাল-সন্ধ্যায় গরম পোশাক দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। কোনোভাবেই বেশি ঠাণ্ডা লাগতে দেওয়া যাবে না।

ঢাকা বিজনেস/এম 



আরো পড়ুন