১৮ মে ২০২৪, শনিবার



শরিফুল তাণ্ডবে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক || ১১ জুলাই, ২০২৩, ১০:০৭ পিএম
শরিফুল তাণ্ডবে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো বাংলাদেশ


শরিফুল ইসলামের বোলিং নৈপুণ্যে আফগানিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে পেরেছে বাংলাদেশ।মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তানকে। শরিফুলের বোলিং তোপে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪৫ দশমিক ২ ওভারে ১২৬ রানে অলআউট হয় আফগানরা। জবাবে ১৫৯ বল বাকি রেখেই জয়ের স্বাদ নিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ায় বাংলাদেশ। 

বৃষ্টি আইনে প্রথম ওয়ানডে ১৭ রানে ও দ্বিতীয় ম্যাচ ১৪২ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। এতে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। এই প্রথম আফগানিস্তানের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হারলো লিটনরা।

তিনটি পরির্বতন নিয়ে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে বোলিংয়ে নামে বাংলাদেশ। তিন পেসার এবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় একাদশে সুযোগ হয় দুই পেসার তাসকিন-শরিফুল ও স্পিনার তাইজুলের। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন শরিফুল। উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে ১ রানে বিদায় দেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইব্রাহিম জাদরান। আগের ম্যাচে ১০০ করা ইব্রাহিম আজ ১ রান করে আউট হন।

একই ওভারের পঞ্চম বলে রহমতশাহকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে আবারও উইকেট শিকারের আনন্দে মাতান শরিফুল। মুশফিককে ক্যাচ দেওয়া রহমতশাহ  রানের খাতাই খুলতে পারেননি। শরিফুলের জোড়া আঘাতের পর প্রথম উইকেটের দেখা পান তাসকিন। নিজের তৃতীয় ওভারে আগের ম্যাচের আরেক সেঞ্চুরিয়ান রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ৬ রানে থামিয়ে দেন তাসকিন। এবারও উইকেটের পেছনে ক্যাচ নেন মুশফিক। আগের ম্যাচে ১৪৫ রান করেছিলেন গুরবাজ।

ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আবারও সাফল্য পান শরিফুল। রাউন্ড দ্য উইকেটে বোলিং করে মোহাম্মদ নবিকে লেগ বিফোর ফাঁদে ফেলেন শরিফুল। বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দিয়ে নবিকে আউট ঘোষনা করেন নন-স্ট্রাইকের আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও উইকেটে টিকতে পারেননি মাত্র ১ রান করা নবী। শরিফুলের আগুন বোলিংয়ে ৯ ওভার শেষে ১৫ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এটিই সবচেয়ে কম রানে ৪ উইকেট হারানোর লজ্জা আফগানদের। এর আগে ২০১৮ সালে বেলফাষ্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল তারা।

ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ৯ ওভারে ২১ রানে ৪ উইকেট নেন শরিফুল। এছাড়া তাসকিন-তাইজুল ২টি করে এবং মিরাজ-সাকিব ১টি করে উইকেট নেন।

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে ১২৭ রানের সহজ টার্গেটে তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আফগানিস্তান পেসার ফজলহক ফারুকির বলে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হন মোহাম্মদ নাইম। ৮ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। ২৮ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এ অবস্থায় অধিনায়ক লিটন দাসের সাথে জুটি বাঁধেন সাকিব। দ্রুত রান তুলে অষ্টম ওভারেই দলের স্কোর ৫০ পার করেন তারা। ১৭ ওভার শেষে দলের রান ৮৯ তে নেন লিটন-সাকিব।

কিন্তু ১৮তম ওভারের প্রথম বলে লিটন-সাকিব জুটি ভাঙ্গেন নবী। ৫টি চারে ৩৯ বলে ৩৯ রান করে নবির শিকার হন সাকিব। তৃতীয় উইকেটে ৬১ বলে ৬১ রান যোগ করেন লিটন-সাকিব জুটি।

সাকিব যখন ফিরেন তখন জয় থেকে ৩৮ রান দূরে বাংলাদেশ। তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৩৮ বলে অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটি গড়ে ২৪তম ওভারের তৃতীয় বলে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন লিটন। ৫৭ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৭তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। শেষ পর্যন্ত ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬০ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন লিটন। ১৯ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। 

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন