দিনাজপুরের হিলিবন্দরের প্রধান সড়কে সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি অনেকদিন। স্থানীয়দের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের অবেহলায় সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যেমন বাড়ছে পথচারীদের দুর্ভোগ, তেমনি ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহনও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন,টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হলেই ফোরলেন কার্যক্রম শুরু করা হবে।
স্থানীয়রা বলছেন, হিলি স্থলবন্দরের চারমাথা থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত এক কিলোমিটার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির কার্পেটিং উঠে গেছে কয়েক বছর আগেই।এই সড়ক দিয়ে হিলিবন্দর থেকে পণ্যবাহী ট্রাক দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়।এছাড়া চলাচল করে ঢাকাগামী কোচসহ বিভিন্ন যানবাহন। মাঝে-মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এই রাস্তায় ইট আর বালু ফেলে জোড়াতালি দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। যা বন্দর থেকে আমদানি পাথর ও বিভিন্ন পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচলে মোটেও উপযোগী নয়।
বন্দরের আমদানিকারক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সরকার এই বন্দর থেকে প্রতি অর্থ বছরে দু’শ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করে। কিন্তু সড়কটি সংস্কার করা হয় না।’
ট্রাকচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই সড়কে গাড়ি চালাতে স্টিয়ারিং ধরে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। ছোট-বড় গর্তে আটকে পড়ছে আমদানি-রপ্তানি পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক। ঝাঁকিতে নষ্ট হচ্ছে ট্রাকের যন্ত্রাংশ। এছাড়া ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও।’
দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) উপ-নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ সরকার ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘ইতোমধ্যে পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিডেটের গেট থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ২ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার সড়কের ফোরলেন কাজ চলছে। চারমাথা থেকে মহিলা কলেজ সড়কের টেন্ডার প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে।’
পার্থ সরকার আরও বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। এজন্য দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহন শাখা থেকে ফোরলেন সড়ক তৈরির জন্য আশেপাশের জমির মালিকদের ৭ ধারার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ শেষ হলেই সওজের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপরই ফোরলেনের কাজ শুরু হবে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/