২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার



তোফাজ্জল হত্যা: ঢাবির হল প্রভোস্টসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০১:০৯ পিএম
তোফাজ্জল হত্যা: ঢাবির হল প্রভোস্টসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক শাহ মুহাম্মদ মাসুমসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালতে তোফাজ্জলের ফুফাতো বোন আসমা আক্তার এ মামলার আবেদন করেন। 

মামলা গ্রহণ করে আদালত বলেছেন, এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বাদীপক্ষকে ওই মামলা ফলো করতে বলেছেন আদালত।

অন্য আসামিরা হলেন- জালাল মিয়া, সুমন মিয়া, ফিরোজ কবির, আবদুস সামাদ, মোত্তাকিন সাকিন শাহ, আল হোসাইন সাজ্জাদ, ওয়াজিবুল আলম, আহসান উল্লাহ, ফজলে রাব্বি, ইয়ামুস জামান, রাশেদ কামাল অনিক, শাহরিয়ার কবির শোভন, মেহেদী হাসান ইমরান ও মো. সুলতান। তারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় হলে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলছিল। এমন সময় হঠাৎ তোফাজ্জল নামে যুবক ফজলুল হক মুসলিম হলে প্রবেশ করলে শিক্ষার্থীরা দুপুরে ৬টি মোবাইল চুরির ঘটনার চোর সন্দেহে মূল ভবনের অতিথি কক্ষে নিয়ে মারধর ও জেরা করতে থাকে। 

একপর্যায়ে তাকে নিয়ে হল ক্যানটিনে খাওয়ানো হয়। পরে এক্সটেনশন ভবনের অতিথি কক্ষে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় বুক, পিঠ, হাত ও পায়ে ব্যাপক মারধর করেন একদল শিক্ষার্থী।

মারধরের ফলে তোফাজ্জলের পা থেকে রক্ত বের হতে থাকে। রাত পৌনে ১০টার দিকে ফের মূল ভবনের অতিথিকক্ষে নিয়ে মারধর করা হয়। ১০টার দিকে প্রক্টোরিয়াল মোবাইল টিমের সদস্যরা এলে মারধরকারীরা তাকে তাদের হাতে তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানান। 

পরে কিছু শিক্ষার্থী ও কয়েকজন হাউস টিউটরের সহায়তায় তাকে প্রথমে শাহবাগ থানায় এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের নাম তোফাজ্জলের (৩০) বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলি ইউনিয়নে। জানা গেছে, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন।

ঘটনার পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ। পরে ৬ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

গ্রেপ্তার ৬ শিক্ষার্থী হলেন- জালাল মিয়া, সুমন মিয়া, মো. মোত্তাকিন সাকিন, আল হোসেন সাজ্জাদ, আহসান উল্লাহ ও ওয়াজিবুল আলম। এরই মধ্যে তারা আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন তারা। 



আরো পড়ুন