১৮ মে ২০২৪, শনিবার



টাঙ্গাইলে ডিম-মুরগির বাজারে আগুন

আব্দুল্লাহ আল নোমান, টাঙ্গাইল || ১৩ আগস্ট, ২০২৩, ০১:০৮ পিএম
টাঙ্গাইলে ডিম-মুরগির বাজারে আগুন


অস্থির হয়ে পড়েছে টাঙ্গাইলের ডিমের বাজার। প্রতিদিনই বাড়ছে দাম। সপ্তাহ ভেদে হালিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। এর সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা আর সোনালির বেড়েছে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা। 

বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়ছে। বাড়তি দামে কিনে সেভাবেই বিক্রি করতে হয়। এদিকে ক্রেতারা বলছেন, বাজার তদারকির অভাবে যে যেভাবে পারছেন, সে সেভাবে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। সরকারের কঠোর নজরদারিতে এ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

রোববার (১৩ আগস্ট) সরেজমিনে শহরের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।  

ডিম বিক্রেতারা বলেন, ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। তারা ঢাকায় বসে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। সকাল-বিকাল ডিমের দাম পরিবর্তন হয়। 

পার্ক বাজারের ডিম ব্যবসায়ী হোসেন ও আমজাদ হোসেন বলেন, ‘গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ফার্মের ডিমের দাম হালিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। আর হাঁসের ডিমের দাম বেড়েছে হালিতে ৮ থেকে ১০ টাকা। আড়তে চাহিদা মাফিক ডিম পাওয়া যাচ্ছে না। তারা বাড়তি দাম রাখছে। আমরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনে কিছু লাভ করে বিক্রি করি। মূল লাভ করছে সিন্ডিকেট।’ 

মুরগি ব্যবসায়ীরা বলেন, পাইকারি বাজারে মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক খামারি মুরগি পালা বন্ধ করেছে, এর প্রভাবে বাজারে মুরগির দাম বেড়েছে। খুব সহজে মুরগির দাম কমবে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

পার্ক বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী আব্দুস সবুর ও মো. শফি বলেন, ‘গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকায়। এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে ১৯০ টাকার মধ্যে। মোকামে চাহিদামতো মুরগি পাওয়া যায় না। বেশি দামে কিনে আনতে হয়।’

কথা হয় বাজারে মুরগি ক্রেতা আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাড়ির ছোট সদস্যরা মাংস খেতে পছন্দ করে। তাদের জন্য ব্রয়লার মুরগি কিনতে হয়। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে যে মুরগি কিনেছি ১৭০ টাকা কেজি দরে, আজ তা ১৯০ টাকা করে চাচ্ছে। ইচ্ছে মাফিক দাম বাড়ায়। সরকার তদারকি করলে দাম কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে থাকতো। বাজারে যেন আগুন লাগছে ভাই। ’

আরেক ক্রেতা হারন-অর-রশিদ বলেন, ‘ডিমের বর্তমান মূল্য ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। আসলে ডিমের দামটা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা হলে আমাদের জন্য ভালো হয়। বাড়তে বাড়তে এখন তা ৫৫ টাকায় এসে ঠেকেছে।’ 

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন