২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



মুকুলে মুকুলে ভরলো আমের শাখা

তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা || ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৫:৩২ পিএম
মুকুলে মুকুলে ভরলো আমের শাখা


ঋতুরাজ বসন্তের শুরুতে নানা রঙে সেজেছে প্রকৃতি। শীতের খোলস ছাড়িয়ে নবরূপে সেজেছে বৃক্ষরাজি। শুষ্ক আবহাওয়ায় যৌবন ফিরে পাচ্ছে প্রকৃতি। আর কচি সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল। মৌ মৌ ঘ্রাণে মুগ্ধ হচ্ছেন গাইবান্ধার বাসিন্দারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গাইবান্ধা শহর ও গ্রামাঞ্চলের বাসা-বাড়ির আম গাছগুলোতে ফুটেছে আমের মুকুল। শুধু বাসা-বাড়িতেই নয়, অনেকে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন আম বাগান। এ ছাড়া অফিস-আদালত কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আম গাছেও দেখা দিচ্ছে মুকুল। 

প্রকৃতির খেয়ালে সোনালি রূপ ধারণ করেছে আবহমান গ্রামবাংলা। গাইবান্ধা জেলার ৭টি উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিটি আমগাছে আশানুরূপ মুকুল আসতে শুরু করেছে। এবার এসব মুকুল থেকে বেশি পরিমাণ পরিপক্ক আম পাওয়ার আশায় ইতোমধ্যে গাছগুলোতে ওষুধ প্রয়োগসহ নানামুখী পরিচর্যা গ্রহণ করা হয়েছে।

নবির হোসেন নামের একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গাইবান্ধা জেলার প্রতিটি বাড়ির আম গাছে মুকুল এসেছে। শুধু আমের মুকুলই নয়, কাঁঠাল, লিচু ও লেবু গাছের ফুলের ঘ্রাণে চারদিক মাতোয়ারা। এসব মুকুলে সুবাস যেন মুগ্ধ করছে সবাইকে। 

স্থানীয় কৃষক খাজা মিয়া বলেন, কয়েক বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ করছি। বিদেশি জাতের আম গাছগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ মুকুল এসেছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন পাওয়া যেতে পারে। প্রত্যাশামূলক ফল পেতে সঠিক যত্ন নিচ্ছি গাছগুলোর। 

জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, এ জেলার মাটি আম গাছের জন্য বিশেষ উপযোগী। এলাকায় কয়েকজন কৃষক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আম চাষ করছেন। তাদের বাগানে বেশ মুকুল দেখা দিয়েছে। তারা যেন লাভবান হতে পারেন, সেভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন