২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব গৃহীত

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ১০ এপ্রিল, ২০২৩, ০৩:০৪ পিএম
জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব গৃহীত


জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনা প্রস্তাব (সাধারণ) সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। সোমবার (১০ এপ্রিল) এই প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে  গ্রহণ করা হয়। এর আগে ৭ এপ্রিল কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারায় এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রস্তাব উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তির এই মাহেন্দ্রক্ষণে সংসদের অভিমত এই যে, ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু রূপে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও আশা আকাঙ্ক্ষার সফল বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে কার্যকর ও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র হবে সুসংহত। শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। সবার জন্য সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। সংবিধানের এ অঙ্গীকারগুলো পূরণে আমরা সবাই একযোগে কাজ করাবো, গড়ে ভুলবো আগামীর সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ,  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংল,  এই হোক আমাদের প্রত্য়য়।

প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের ওপর  জাতীয় সংসদের বিশেষ ও ২২তম অধিবেশনের শেষ দিনে আলোচনায় অংশ নেন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, বিরোধী দলের উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।’

আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ উন্নয়নের সুফল জনগণের কাছে পৌঁছাতে সর্বক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র অব্যাহত থাকলে, উন্নয়ন টেকসই হয়। গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হলে, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। তাই সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মজবুত করতে হবে। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখতে দেশের সব দল, মতের ঐকমত্য প্রয়োজন।’

বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের অপর নাম, শেখ মুজিবুর রহমান’ এটি একটি কঠিন সত্য, যে সত্য বার বার অন্ধকারকে ভেদ করে বাঙালির হৃদয়ে সূর্যালোক পৌঁছে দেয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উন্নয়নে বিপুল ত্যাগ স্বীকার করায় সংসদের অভ্যুদয় এবং জাতির অস্তিত্ব একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার জাতীয় সংসদে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ‘এই সংসদে জাতির পিতার হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশসহ অনেক কালো আইন পাস হয়েছে। সংসদে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী, যুদ্ধাপরাধী, খুনি, সন্ত্রাসী, কালোবাজারিদের সদস্য করে আনা হয়েছে। সংসদের বিভিন্ন অবকাঠামো ধ্বংস করা পাশাপাশি সংসদের স্বাভাবিক কার্যপ্রণালী বিঘ্নিত করা হয়েছে। সংসদকে অকার্যকর করার সব প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে। জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদকে কার্যকর করতে সংসদীয় কমিটিগুলোকে সক্রিয় করেছেন, সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব চালু করাসহ সংসদকে কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি সংসদীয় গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন।’  

রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের কল্যাণে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। অথচ স্বাধীনতাবিরোধীরা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতাকে অবহেলা করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে কাজ করছে।’  সূত্র: বাসস

 ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন