০৫ জুলাই ২০২৪, শুক্রবার



বসন্তে পঞ্চগড় সেজেছে টিউলিপ ফুলে

পঞ্চগড় সংবাদদাতা || ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৬:৩২ পিএম
বসন্তে পঞ্চগড় সেজেছে টিউলিপ ফুলে


আজ পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। সামনে আসছে ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবস। এদিকে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা। এসব দিবস ও মেলাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় চাষ হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি ফুল। পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া উপজেলায়ও প্রায় ১ লাখ গাছে দুলছে বাহারি রঙের ১০ প্রজাতির রাজসিক টিউলিপ। এই ফুলের অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ করেছে পর্যটকদের। 

উপজেলার দর্জিপাড়া গ্রামের প্রায় ২ একর জায়গাজুড়ে গড়ে ওঠা টিউলিপ ফুলের এই উদ্যান যেন একখণ্ড শীত প্রধান দেশ নেদারল্যান্ডস। এ ফুলের সৌন্দর্য় উপভোগ করতে ভিড় করছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকরা। 

এখানে ২০ জন উদ্যোক্তার সমন্বয়ে টিউলিপ ফুল চাষ হয়েছে। পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এবং ইন্টারন্যাশন্যাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট (ইফদার) সহযোগিতায় দেশের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইকো সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) মাধ্যমে পাইলট প্রকল্পে চাষ করা হচ্ছে বিদেশি ফুল টিউলিপ। এখানে রয়েছে ইকো ট্যুরিজমের মাধ্যমে থাকা-খাওয়ার হোটেল ব্যবস্থা। 

ইএসডিওর পরিচালক প্রশাসন ড. সেলিমা আখতার বলেন, ভৌগলিক আবস্থানগত দিক থেকে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া পর্যটনে অপার সম্ভাবনা এলাকা। তেতুলিয়ায় ইকো ট্যুরিজম গড়ে তুলতে ভিনদেশি টিউলিপ ফুলের চাষ পাইলট প্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করেছি। টিউলিপ নেদারল্যান্ডের উচ্চ মূল্যের দামি ফুল। দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা এসে টিউলিপ ফুল দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন। 

তিনি আরও বলেন, টিউলিপ চাষে এবার ব্যয় হয়েছে ৮০ লাখ টাকা। বাল্ব বা চারার দাম ,শেড নেট, ফেন্সিংনেট, রাসায়নিক সার, জৈবসার, কীটনাশক ও শ্রমের মূল্য ধরেই এই ব্যয় হয়েছে। গত ১০ জানুয়ারি ১ লাখ টিউলিপ ফুলের বীজ রোপণ করা হয়। রোপণের ১৫-১৬ দিনেই চারা গজিয়ে কলি ফুটে। টিউলিপ ফুল উৎপাদন করে ফুলের জগতে অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে উৎপাদিত প্রতিটি ফুল বাগান থেকে ৫০ টাকা দরে স্থানীয়ভাবে বিক্রি শুরু করা হয়েছে।

নীলফামারির বাসিন্দা আক্তার হোসেন পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন টিউলিপ বাগানে। তিনি বলেন, ‌আগেই শুনেছি এখানে নেদারল্যান্ডসের টিউলিপ ফুল চাষ হয়েছে। তাই আমার স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। দারুণ লাগছে। চোখ-মন দুটোই জুড়িয়ে গেছে।’ 

বাগানের উদ্যোক্তা মনোয়ারা খাতুন বলেন, গতবছরই আমরা ৮ নারী মিলে এ অঞ্চলে নেদারল্যান্ডসের রাজকীয় টিউলিপ ফুটিয়ে ছিলাম। টিউলিপ চাষ করে আমরা যেমন সফল হয়েছিলাম তেমনি আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছিলাম। আশা করছি এবারও টিউলিপের দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবে পর্যটক। লাভবানও হবো। 

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন