২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



ভালোবাসার মাসে গাইবান্ধার ফুলচাষিদের মুখে হাসি

তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা || ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৮:৩২ পিএম
ভালোবাসার মাসে গাইবান্ধার ফুলচাষিদের মুখে হাসি


ফেব্রুয়ারি মানে ভাষার মাস, ভালোবাসা ও উৎসবের মাস। এই মাসে ‘রোজ ডে’ থেকে শুরু করে সপ্তাহব্যাপী উদযাপন হয় ‘ভালোবাসা দিবস’। আর এসব দিবসগুলোতে বেড়ে যায় ফুলের চাহিদা। ফুলপ্রেমীদের এই চাহিদা পূরণে ইতোমেধ্য চাষিরাও প্রস্তুত। এ বছর অধিক লাভের আশায় তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। 

সম্প্রতি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের খোর্দ্দকোমরপুর ও ইদিলপুর এলাকার বেশ কিছু গ্রামের মাঠ ফুলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে। আসছে বসন্তবরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, মাতৃভাষা দিবস। এ উপলক্ষে ক্ষেতে ক্ষেতে ঝুলছে হরেক রকমের ফুল। আর এই ফুলের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের এলাকায়।  

জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে নানা ধরনের ফুল। বিশেষ করে ইদিলপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মাঠ এখন অর্থকরী ফসল হিসেবে গাঁদা-গোলাপসহ অন্যান্য ফুল চাষ করা হচ্ছে। সারাবছরের ফসল হিসেবে বেশ লাভজনক হওয়ায় ফুল চাষেই অধিক মাত্রায় ঝুঁকে পড়ছেন এখানকার কৃষকরা। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, তাজনগর গ্রামের কৃষক মোখলেছুর রহমান তার এক বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের সাদা, হলুদ, লাল, কালো গোলাপ চাষ করেছেন। ফুল চাষ করেই অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি। এ বছরও তিনি নতুন করে আরও বেশি জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করছেন। 


রাঘবেন্দপুর গ্রামের গোলজার মিয়া কয়েক বছর যাবত ফুল উৎপাদন করে আসছেন। নিজ জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করেছেন। ফুলের মধ্যে রয়েছে, রজনীগন্ধা, ডালিয়া, গোলাপ, সূর্যমুখী, ঘাস ফুল, গাঁদা, জারবারা (ইন্ডিয়া)। এ থেকে অনেকটাই লাভবান তিনি। তার এই সাফল্যে ওই গ্রামের অন্যান্য কৃষকও এ বছর ফুল চাষ করেছেন। 

মজিদ মিয়া নামের এক ফুলচাষি বলেন, সাধারণত একটি গোলাপ ৪ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করা হয়ে থাকে। ব্যবসায়ীরা প্রতিটি ৮ থেকে ১০ টাকা মূল্যে বিক্রি করেন। তবে বিশেষ মৌসুমে যেমন- প্রপোজ ডে, ভালোবাসা দিবস, পহেলা ফাল্গুন, নববর্ষ, একুশে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা দিবস ও বিভিন্ন দিবসে একটি গোলাপ বাগান থেকেই বিক্রি হয় ১০ টাকায়। যা দোকানে বিক্রি হয় ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে। 

আরেক কৃষক শাহীন মিয়া বলেন, ২ বিঘা জমিতে ফুল চাষে খরচ বাদে প্রতিমাসে প্রায় ২৫ হাজার টাকার মতো আয় হয়। তবে ফেব্রুয়ারি মাসের তিনগুণ আয়ের স্বপ্ন দেখছেন।  

সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইদিলপুর এলাকার মাটি ফুল চাষে অত্যন্ত উপযোগী। এ কারণে বেশি ফলন পাওয়ায় ফুল চাষ করে যথেষ্ট লাভবান হতে পারছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দিবসকে সামনে রেখে কৃষকরা ক্ষেতের ফুলগুলো ম্যাকিং করা শুরু করেছেন।

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন