১৮ মে ২০২৪, শনিবার



১৮০ কিলোমিটার সাইকেলে এসে ২০১ গম্বুজ মসজিদে নামাজ আদায়

আব্দুল্লাহ আল নোমান, টাঙ্গাইল || ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৩:৩২ পিএম
১৮০ কিলোমিটার সাইকেলে এসে ২০১ গম্বুজ মসজিদে নামাজ আদায়


রাসেল বিশ্বাস লাল। ফরিদপুরের মধুখালী পৌর এলাকার পশ্চিম গারাখোলা এলাকার বাসিন্দা। পেশায় তিনি বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি। তার ইচ্ছা ছিল টাঙ্গাইলের গোপালপুরের ২০১ গম্বুজ মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করবেন। তবে, ইতোপূর্বে কখনো টাঙ্গাইল আসেননি তিনি। বাসে আসলে আশেপাশের পরিবেশ দেখা যাবে না। তাই সাইকেল নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বললে তার স্ত্রী ও দুই সন্তানও সাইকেল নিয়ে আসতে উৎসাহিত করেন। সেই উৎসাহ থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার পথ সাইকেল চালিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে গোলাপুরে আসেন। পরে তিনি শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করেন। 

রাসেল বিশ্বাস জানান, পত্রপত্রিকা থেকে গোপালপুরের পাথালিয়ার ২০১ গম্বুজের কথা তিনি জানতে পারেন। তিনি শুনেছেন এই মসজিদে প্রতি শুক্রবার দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ জুমার নামাজ পড়তে আসেন। তারও শখ হয় এই মসজিদে নামাজ পড়ার। বাসে আসলে আশেপাশের কোনো কিছু দেখা হবে না। কিন্তু সাইকেল নিয়ে আসলে ফরিদপুর থেকে গোপালপুর পর্যন্ত নানা এলাকা দেখা হবে। তাই বুধবার সকাল ৬টার দিকে মধুখালী নিজ বাড়ি থেকে সাধারণ একটি সাইকেল নিয়ে বের হন। কোনো বিরতি না দিয়ে ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন। পৌঁছান দৌলদিয়া ফেরিঘাটে। ফেরিতে নদী পার হয়ে আরিচা প্রান্তে আসেন। তারপর আবার সাইকেল চালানো শুরু করেন। মানিকগঞ্জের শিবালয়, ঘিওর হয়ে দৌলতপুর উপজেলা সদরে আসেন বুধবার দুপুরে। সেখানে মধ্যাহ্নের খাবার খেয়ে আবার যাত্রা শুরু করেন। 

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা পার হয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার অলোয়া এলাকায় একটি মসজিদে রাত্রীযাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু ওই এলাকার মতিয়ার রহমান নামের এক ব্যক্তি তাকে তার বাড়িতে রাত্রীযাপন করার সুযোগ দেন। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৭টায় আবার যাত্রা শুরু করেন গোপালপুরের উদ্দেশে। দুপুর ১২টায় তিনি গোপালপুরের পাথালিয়া গ্রামে ২০১ গম্বুজ মসজিদে পৌঁছান।

রাসেল বিশ্বাস বলেন, গোপালপুরে পৌঁছে আমি ওই এলাকা ঘুরে দেখেছি। শুক্রবার জুমার নামাজের পর আবার বাড়ির উদ্দেশে সাইকেল নিয়ে যাত্রা শুরু করি। দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দিয়ে নতুন নতুন অনেক জায়গা দেখেছি। আমার খুব ভালো লেগেছে। তাই পথে কোনো ক্লান্তবোধ হয়নি।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম-সম্পাদক ইফতেখারুল অনুপম বলেন, সাইকেল চালানো একটি ভালো অভ্যাস। নিয়মিত সাইকেল চালালে শরীর, স্বাস্থ্য ও মন ভালো থাকে। তা-ছাড়া সাইকেল একটি পরিবেশবান্ধব যান। রাসেল বিশ্বাসকে দেখে অনেকেই সাইকেল চালাতে উদ্বুদ্ধ হবে বলে মনে করি।

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন