২৯ জুন ২০২৪, শনিবার



টাঙ্গাইলে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ, হাসপাতালে রোগীর ভিড়

আব্দুল্লাহ আল নোমান, টাঙ্গাইল || ১৭ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৭:৩১ পিএম
টাঙ্গাইলে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ, হাসপাতালে রোগীর ভিড়


শীত বাড়ায় টাঙ্গাইলে বেড়েছে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ। প্রতিদিনই বিপুল সংখ্যক নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালগুলোতে। ফলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ধারণক্ষমতার চেয়ে তিন থেকে চারগুণ বেশি রোগী ভর্তি থাকছেন। চিকিৎসা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। সিট সংকট দেখা দিয়েছে শিশু ওয়ার্ডে। পরিস্থিতি সামাল দিতে করোনা ইউনিটকে শিশু ওয়ার্ডে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

হাসপাতাল সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি শিশু রোগী ভর্তি রয়েছে। এতে অনেক রোগী বিছানা না পেয়ে হাসপাতালের বারান্দায় ও  মেঝেতে ঠাঁয় নিয়েছেন। 

রোগীর স্বজনরা বলেন, রোগীর চাপ থাকায় আমাদের হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় থাকতে হচ্ছে। যার কারণে প্রচণ্ড শীতে মেঝেতে থাকায় রোগীর সমস্যা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর যারা বিছানা পেয়েছেন, সেখানেও রয়েছে সমস্যা। এক বিছানায় দুই-তিনজন রোগী থাকছেন। এতে অস্বস্তি নিয়ে থাকতে হচ্ছে আমাদের।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. নুরুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘শীতের শুরুতেই শিশুদের রোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার মধ্যে নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। অনুমোদিন বেডের চেয়ে ৩ থেকে ৪ গুণ রোগী বেশি ভর্তি হচ্ছে। যার কারণে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে শিশুদের গরম কাপড় পরাতে হবে। গোসলের ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে। বিনা কারণে শিশুদের বাইরে নেওয়া যাবে না।’  

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খন্দকার সাদেকুর রহমান ও আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. লুৎফর রহমান বলেন, ‘শীতের তীব্রতা বাড়ায় ঠাণ্ডাজনিত রোগসহ শ্বাসকষ্ট রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। চাপ বেশি থাকায় বারান্দাতেও রোগীর থাকছে।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘রোগীর চাপ সামাল দিতে করোনা ইউনিটকে শিশু ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে তাদের সেখানে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।’

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন