০৩ জুলাই ২০২৪, বুধবার



হিলিতে বেড়েছে মাছের দাম

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ০১ জুলাই, ২০২৪, ১১:০৭ এএম
হিলিতে বেড়েছে মাছের দাম


দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে মাছের দাম। প্রতিটি প্রজাতির মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। ১৩০ টাকা কেজি দরের সিলভার কার্প মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। ২০০ টাকা কেজি দরের রুই, মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। আর ১৬০ টাকা কেজি দরের তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। 

ক্রেতারা বলছেন, ঈদুল আজহার আগেই এসব মাছের দাম কম ছিল। কিন্তু ঈদুল আজহার পরেই বাড়তে শুরু করেছে। আর বিক্রেতারা বলছেন, চাষিরা জানিয়েছেন, মাছের খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে। তাই মাছের উৎপাদন খরচ অনেকটা বেড়েছে। এই কারণে আগের দামে মাছ বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই তাদের বেশি দামে মাছ কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। 

সোমবার (১ জুলাই) সকালে হিলি বাজারে মাছ কিনতে আসা মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘ঈদুল আজহার আগে ও একসপ্তাহ পরেও মাছের দাম অনেক কম ছিল। হঠাৎ কয়েকদিন ধরে মাছের দাম বেড়েছে। ঈদের আগে প্রতিকেজি রুই মাছ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর আজ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ৪০ টাকা দাম বেড়েছে। এভাবে প্রতিটি মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা। 

আরেক ক্রেতা মো.  আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমি মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। সন্তানদের মুখে আমিষ তুলে দেওয়ার জন্য সিলভার কার্প বা পাঙ্গাস মাছ কিনি। কিন্তু সেই সিলভা কার্প মাছের দামও বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। ১৩০ টাকা কেজি দরের সিলভার কার্প মাছ আজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।’ 

আফজাল হোসেন আরও বলেন, ‘এভাবে মাছের দাম বাড়তে থাকলে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের কপালে আর আমিষ জুটবে না।’ 

মাছবিক্রেতা মো. জাহিদুল ইসলাম মাছের দাম বাড়ার কথা স্বীকার করে  ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘ঈদের পরে সব ধরনের মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। আর বাজারে মাছের সরবরাহও আগের চেয়ে কমে গেছে।’

জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘মাছচাষিরা আমাদের বলেছেন, মাছের খদ্যের দাম বাড়ার কারণে মাছ উৎপাদন খরচ বেশি পড়ছে। তাই বেশি দামে মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে। আমরাও তাদের কাছ থেকে রুই মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে কিনে ২৪০ টাকা দরে, সিলভার কার্প মাছ পাঙ্গাস মাছ ১৩০ টাকা কেজি দরে কিনে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে ও তেলাপিয়া মাছ ১৬০ টাকা কেজি দরে কিনে ১৮০ টাকায় বিক্রি করছি।’

ঢাকা বিজনেস/এনই 



আরো পড়ুন