২৯ জুন ২০২৪, শনিবার
বিএনপি সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বিএনপি আশা করেছিল, বিদেশি প্রতিনিধিরা এসে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের কথা বলবেন। কিন্তু, এটা কেউ বলেননি। কারও সঙ্গে কোনো আলাপে এসব প্রসঙ্গই আসেনি।’ শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন ক্যাম্পাসে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় সমাপ্ত কম্পিউটার সায়েন্স-ব্রিজ প্রোগ্রামের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির এক দফা হচ্ছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকার গঠন। এটি বাংলাদেশে যেমন হালে পানি পায়নি, বিদেশিদেরও কারও সমর্থন তারা পায়নি।’ তিনি বলেন, ‘বিদেশি প্রতিনিধিদের আলোচনায় শুধু একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা এসেছে। এমনকি সবার অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন, সেই কথাটাও আসেনি।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অবশ্যই আমরা চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক, সবাইকে নিয়েই আমরা নির্বাচন করতে চাই। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুয়ায়ী। সে অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
গত বুধবার পল্টনে সমাবেশ করে বিএনপি মহাসচিবের একদফা ও বৃহস্পতিবার ৩১ দফা ঘোষণা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ড. হাছান বলেন, ‘দু'দিন আগে বিএনপি ঘোষণা করেছিল ১ দফা, পরের দিন দেখলাম ৩১ দফা, আসলে বিএনপির কয় দফা এটা নিয়েই অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে।’
২০১৩ সাল থেকেই কিছুদিন পরপর একদফার আন্দোলন শুনে আসছি জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি হচ্ছে সাপের খোলস বদলানো এবং একই ঢোল বারবার বাজানোর মতো। সাপ যেমন ক’দিন পরপর খোলস বদলায়, বিএনপিও বছরান্তে একদফার কথা বলে, এতে নতুনত্বের কিছু নেই।’ তিনি বলেন, ‘তারা উন্মুখ হয়ে বসেছিলেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা কখন আসবে। তখন তারা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। উদ্দেশ্য ছিল, তারা কত বড় সমাবেশ করতে পারে তা বিদেশিদের দেখানো।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি অফিসের সামনে নয়াপল্টনের পুরো রাস্তাজুড়ে বড় জোর ৩০ হাজার মানুষ ধরে। সেখানে না হয় আরো ১০ হাজার আমি যোগ করলাম। এর চেয়ে বেশি মানুষ সেখানে হয়নি। আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১২ ঘণ্টার নোটিশে তিনটা রাস্তাজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ করেছে। সবাই দেখেছে কত বড় সমাবেশ আওয়ামী লীগ করার ক্ষমতা রাখে।'
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রুবানা হক অনলাইনে এবং উপ-উপাচার্য ডেভিড টেলর, কম্পিউটার সায়েন্স ব্রিজ প্রোগাম পরিচালক অধ্যক্ষ শামস ফররুখ আহমেদ, অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন প্রমুখ বক্তৃতা দেন।
ঢাকা বিজনেস/এনই/
