দিনজাপুরের ব্যস্ততম সড়কগুলোর পাশে গড়ে উঠেছে শতাধিক ওয়েলডিং (ঝালাই) কারখানা। স্বাস্থ্যবিদ ও স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্যস্ততম সড়কের পাশে গড়ে ওঠা এসব ওয়েলডিং কারখানা জনস্বাস্থ্য জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি কারখানায় ব্যবহৃত জিনিসপত্র সড়কের পাশে এলোমেলো ফেলে রাখায় পথচারীসহ যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। উপজেলা প্রশাসন বলছে, শিগগিরই এসব ওয়েলডিং কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হিজি বাজারের পথচারী মো. কুরবান আলী বলেন, ‘বাজারের গুরুত্বপূর্ণ পাবনা স্টোর মোড়ে গড়ে উঠেছে দুটি ওয়েলডিং কারখানা। এসব কারখানায় তৈরি করা হয়, গ্রিলের দরজা, জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র। এসব আসবাবপত্র ঝালাই করার সময় বৈদ্যুতিক আলোকরশ্মি এই সড়কের পথচারীসহ বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের চোখের মারাত্মক ক্ষতি করছে। অনেক সময় ছোট শিশুরা দাঁড়িয়ে ঝালাই করা দেখে। পরে তাদের চোখে জ্বালা-পোড়া করে।’
ডাঙ্গাপাড়া বাজারের দোকানদার আব্দুর রশিদ বলেন, ‘ডাঙ্গাপাড়া বাজরের প্রধান সড়কের ওপর গড়ে ওঠা ওয়েলডিং কারখানায় ভ্যান, রিকশা নষ্ট হলে ঝালাই করা হয়। এছাড়াও কারখানায় ব্যবহৃত জিনিসপত্র সড়কের ওপর যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা হয়। এতে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। অনেক সময় ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটে।’
হিলি খাদ্যগুদাম মোড়ের ওয়েলডিং কারখানার মালিক মো. জমিরুল ইসলাম বলেন, ‘ছোট দোকান। ঘরের ভেতরে জায়গা হয় না। তাই সড়কের ওপর ঝালাইয়ের কাজ করতে হয়। কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জিনিসপত্র দোকানের ভেতরে ঢুকে রাখি।’
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার দাস বলেন, ‘খোলামেলা জায়গায় ওয়েলডিং করলে বিচ্ছুরিত রশ্মি ছুটে এসে পথচারীসহ ওই কাজের সঙ্গে নিয়োজিত ব্যক্তির বার্ন ইনজুরিসহ চোখের বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই ঝালাই কাজের নিয়োজিতদেরও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ নুর-এ-আলম ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘উন্মুক্ত জায়গায় ওয়েলডিংয়ের কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। শিগগিরই ওইসব ওয়েলডিং কারখানার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/