২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার



পচছে পেঁয়াজ, কমছে না দাম

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ৩০ অক্টোবর, ২০২৪, ০৪:১০ পিএম
পচছে পেঁয়াজ, কমছে না দাম


আমদানি করা পেঁয়াজ আসার পথে ভারতীয় ট্রাকে বৃষ্টিতে ভিজে পচে গেছে।  বন্দর থেকে আড়তে নিয়ে এসে শ্রমিক দিয়ে বাছাই করে  ৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে এসব নিম্নমানের পেঁয়াজ। বাছাই করার পর ভালো মানের পেঁয়াজের বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে।  বুধবার (৩০ অক্টোবর) হিলি স্থলবন্দরের কয়েকটি আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। 

হিলিতে পেঁয়াজ কিনতে আসা মো. জসিম উদ্দিন, আমি হিলিতে পেঁয়াজ কিনতে এসেছি। ১৫০ টাকা দিয়ে এক বস্তা (৪০ কেজি) পেঁয়াজ কিনলাম। একটু পচা। তবে এসব পেঁয়াজ বাড়িতে গিয়ে বাছাই করতে হবে। বাছাই করলে খাওয়ার জন্য ভালো পেঁয়াজ বের হবে।

জসিম উদ্দিন আরও বলেন, বাছাই করার পরও যদি ১০ কেজি ভালো পেঁয়াজ টেকে, তবু তো ৪০০ টাকা দাম পড়বে।

মো. হাসিবুল ইসলাম নামের একজন বলেন, আমি জয়পুহাট থেকে পেঁয়াজ কিনতে হিলিতে এসেছি। আড়ত থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে নিম্নমানের কিছু পেঁয়াজ কিনলাম। এসব বাছাই করে বাজারে বিক্রি করবো। ১ কেজি পেঁয়াজ বাছাই করে যদি ৫০০ গ্রামও টেকে, তবে তো কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা লাভ থাকবে। তিনি বলেন, জয়পুরহাটে ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এই আশায় কেনা। 

হিলি বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, আমরা ভালো মানের পেঁয়াজই বিক্রি করছি। এক সপ্তাহ আগে বিক্রি করেছি ১০০ টাকা কেজি দরে। আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিক্রি করছি ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। 

হিলিবন্দরের পেঁয়াজের আড়তদার মো. হেলাল হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। এসব পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসতে প্রায় সাত থেকে আট দিন সময় লাগে। আর এবার বৃষ্টির কবলে পড়তে হয় পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাকগুলোকে। সে কারণে কিছু পেঁয়াজের ট্রাক বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ায় সেই পেঁয়াজগুলো পচে গেছে। বন্দর থেকে এসব পেঁয়াজ আড়তে এনে শ্রমিক দিয়ে বাছাই নিম্নমানের ৪০ থেকে ৫০ কেজি দরে বিক্রি করছি। আর যেসব পেঁয়াজ বেশি নষ্ট হয়েছে। সেসব পেঁয়াজ প্রতিবস্তা ওজন ছাড়ায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দরে করে বিক্রি করছি।



আরো পড়ুন