দেশের উত্তর জনপথে শীতের আমেজ পড়েছে। তাই কমেছে বিদ্যুতের চাহিদা। কিন্তু তারপরও চলছে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সারাদিনে চার থেকে পাঁচ বার বিদ্যুৎ যাওয়া করে। এতে খুব প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা।
পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক মো. জাকির হোসেন বলেন, বর্তমানে উত্তর জনপথে কিছুটা শীতের আমেজ দেখা দিয়েছে। এখন আর রাতে ফ্যান চালাতে হয় না। বিদ্যুতের চাহিদা কমে গেছে। তারপরও কেন লোডশেডিং হচ্ছে তা আমরা বুঝতে পারছি না।
আরে গ্রাহক আব্দুল জব্বার বলেন, বৃহস্পতিবার ( ৩১ অক্টোবর) সারাদিনে চার থেকে পাঁচ বার বিদ্যুৎ যাওয়া আশা করেছে। এতে এসি-ফ্রিজ নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় আমাদের। বিদ্যুতের যাওয়া-আসার কারণে বৈদ্যুতিক সামগ্রী যেকোনো সময় বিকল হয়ে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, এখন তো অনেকে ফ্যান চালান না। বিদ্যুতের চাহিদাও কমে গেছে। কিন্তু লোডশেডিং চলছেই।
পল্লী বিদ্যুৎ হিলি সাব জোনাল অফিসের এজিএম বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, বিদ্যুতের চাহিদা কমেছে ঠিকই। সেই সঙ্গে কমেছে উৎপাদনও। তাই আমরা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
বিশ্বজিৎ দত্ত আরও বলেন, গরমের সময় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল হাটে পাঁচ মেগাওয়াট। পাচ্ছিলাম আড়াই থেকে তিন মেগাওয়াট। বৃহস্পতিবার হিলিতে পল্লী বিদ্যুতের চাহিদা ছিল তিন মেগাওয়াট। কিন্তু আমরা পেয়েছি মাত্র দেড় মেগাওয়াট। তাই ফিডার অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরকারও করা হয়েছে। বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিদ্যুতের সরবরাহ কমে গেছে। সরবরাহ বাড়লে আর লোডশেডিং থাকবে না বলে জানান তিনি।