দিনাজপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে কেজিতে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) প্রতিকেজি দেশি কাঁচামরিচ ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি দরে। এদিকে ভারতীয় কাঁচা মরিচ গত সপ্তাহে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে।
ক্রেতারা বলছেন, গেলো সপ্তাহে বৃষ্টির অজুহাতে যেভাবে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে যায়, তাতে অনেকে কাঁচামরিচ কেনাই বাদ দিয়েছিল। এখন দাম একটু স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে। স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে। আর বিক্রেতারা বলছেন, গেলো সপ্তাহে বৃষ্টির কারণে বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ কমে যায়। একারণে দাম বেড়ে যায়। এ সপ্তাহে সরবরাহ বাড়ায় দাম স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) হিলিবাজারে সবজি কিনতে আসা মো. আলমাস হোসেন বলেন, আজ কাঁচামরিচ কিনে একটু স্বস্তি পেলাম। গত মঙ্গলবার তো কাঁচামরিচের দাম শুনেই না কিনে বাড়ি ফিরেছি। গেলো মঙ্গলবার প্রতিকেজি ভারতীয় কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা দরে। আর আজ মঙ্গলবার সেই কিনলাম ১২০ টাকা কেজি দরে।
আরেক ক্রেতা মো. আক্কাস আলী বলেন, কিছুদিন আগে সবজির বাজার বেশি ছিল। ধীরে ধীরে দাম নাগালের মধ্যে এসেছে। কিন্তু কাঁচামরিচের ঝাল কিছুতেই কমছিল না। দেশি কাঁচামরিচ ৫০০ টাকা কেজি আর ভারতীয় কাঁচামরিচ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। তবে আজ বাজারে এসে দেখলাম কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। দেশি কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা কেজি দরে । আর ভারতীয় কাঁচামরিচ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা মো. সাদ্দাম হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, আমাদের কী করার আছে বলেন। আমরা যে দামে কিনি তার চেয়ে কেজিতে ২০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি। গত সপ্তাহে দেশি কাঁচামরিচ ৪৮০ টাকা কেজি কিনে ৫০০ টাকা বিক্রি করি। আর ভারতীয় কাঁচামরিচ ৩৮০ টাকা কেজি কিনে ৪০০ টাকায় বিক্রি করি।
সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, এ সপ্তাহে কাঁচামরিচ সরবরাহ বেড়েছে। তাই দামও কমেছে। এ সপ্তাহে দেশি কাঁচামরিচ ১২০ টাকা কেজি কিনে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আর ভারতীয় কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে কিনে ১২০ টাকায় বিক্রি করছি।