লিলি ভেজে পথে পোড়া ছাই পাশে
পৃথিবী উষ্ণ তার,
কাকিলা মাছের ঠোঁটের মতন
ভূমিতে শোলক পড়ে
আকাশের দুধে বিবৃত পাখির
ভেজা ডানা চুপ, আর
লিলি-জুঁই রটে, স্তনের ঝিরি
গুনগুন করে ঝরে
মানুষিক মাঠে কাদাখোঁচা নামে
তীর্থদলের মতো,
ফোঁটা ফোঁটা শিস অপলক ঘেঁষে
যেন সাবেকীর স্মৃতি
আকাশের শাঁখে ভেজায় আসুক
সর্দিরা আছে যত,
বুকের তোশকে ডুবে গেলে পাব
হিস্টাসিনের বৃতি
এই বৃষ্টির ঋগ্বেদে পাই
শহর-গাঁয়ের মানে,
স্যানিটাইজার গায়ে মেখে চলো
গুলনার্গিস তাই
বিনষ্ট ছাদে প্রজাপতি ভেজে
উদ্দাম বুনো গানে,
পাথরের মাঠে সবুজ শিশুরা
মল্লারে ভাসে সহসাই
বিজ্ঞাপনের মিনি ড্রেস ভেজে
বিলবোর্ডের শহরে,
ভেজে মেট্রোরেল নাইটগাউনে
কনডম ভাসে রাস্তায়
আসমানজুড়ে জলতরঙ্গ
বাজে হৃদয়ের অদূরে,
কার যেন
লাল মুছে যায় জলে
রিকশার চাকা ঘুরে যায়
তিন হাজারের অ্যাসিড বৃষ্টি
দেখো, কী টেরর ছড়ায়!
গাছেরা মাছেরা অভিশাপ ছোড়ে
ইন্ডাস্ট্রির ধূর্ত শিল্পে
কয়েক হাজার বছর পূর্বে
চলো যাই চলে, থাকা দায়
দশ হাজারের এই অসুস্থ
নীল প্যারালাল গল্পে
সালফার গ্যাসে ইনকাম করি
ইলেকট্রনিক মানি,
বরফ হারিয়ে নুহের সাগর
পেতে হয় ভূরি ভূরি
সুপারসনিক ভাষাদেশে চলো
দুধের রেইন আনি,
পশু-পাখি-গাছ কিংবা মাছের
সঙ্গে আলাপ জুড়ি
মহাজাগতিক বৃষ্টিতে আজ
পৃথিবীর সব পতাকা
ভিজে একাকার, জাতিগুলো আজ
একই ধারায়, সবাই নিঃস্ব
পারমাণবিক বিশ্ব গুম, তাই
সীমানাপ্রাচীর নাই, ফাঁকা—
চারপাশে বুনো বৃষ্টি, ভিজছে
থোকায় থোকায় পোড়া বিশ্ব
আমাজন ভেজে পোড়া মুখ নিয়ে
পুনর্জাগার আশায়,
মহাজাগরণ-বৃষ্টির ছাঁটে
জমাট রক্ত পরিষ্কার
একটানা এত বছর বৃষ্টি—
পিপাসা মিটল না হায়,
মিসাইলে ছাই পৃথিবীর বুক
এত বর্ষণেও তপ্ত দিদার
মহাজাগতিক বৃষ্টিতে ভিজে
আবার সাজাই গ্রহ চলো না—
পুবপুরুষের সব র্যাম-রম,
আকাশসমান পেট মুছে করি নিঃশেষ
চলো পাখি হয়ে কাটাই সংসার
মানুষের বেশে, থাকবে না
পেট ছাড়া কোনো খাদ্যগুদাম
এ স্তন দুধাল হবে, হবে শুধু একটি দেশ!
এমন নাজিল বৃষ্টিতে চলো
ধুয়ে দিই পুরো ইহছাই—
পোড়া দেশজুড়ে শ্লোক বাড়ুক
বোমার দুনিয়া হারাই…