১৮ মে ২০২৪, শনিবার



দ্বিতীয় দিন শেষে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা বাংলাদেশের

ক্রীড়া ডেস্ক || ২৩ মার্চ, ২০২৪, ০৬:০৩ পিএম
দ্বিতীয় দিন শেষে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা বাংলাদেশের


দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ১১৩ রান করতেই ৫ উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। তবুও ব্যাকফুটে থেকেই দ্বিতীয় দিন শেষ হলো টাইগারদের। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১৮৮ রানে অলআউট হওয়ার পর ২১১ রানের লিড নিয়েছে সফরকারী দল। তারা প্রথম ইনিংসে করেছিল ২৮০ রান।

শনিবার (২৪ মার্চ) দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কানদের প্রথম ২টি উইকেটই নেন গতির ঝড় তোলা নাহিদ রানা। নিশান মদুশাঙ্কার পর তিনি ফেরান কুশাল মেন্ডিসকেও। এরপর ২৮ রানের জুটি গড়েন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও দিমুথ করুনারত্নে। ম্যাথুসকে ২২ রানে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। শূন্য রানে দিনেশ চান্দিমালকে শিকারে পরিণত করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

হাফসেঞ্চুরির পর শরিফুল ইসলামের ওভারে প্যাভিলিয়নে ফেরেন করুনারত্নে। ১০১ বলে ৫২ রান করেন তিনি। এরপর ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও বিশ্ব ফার্নান্দোর ব্যাটে ১১৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। সিলভা ২৩ ও বিশ্ব ২ রান নিয়ে অপরাজিত।

এর আগে ৩ উইকেটে ৩২ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিন যোগ করে মাত্র ১৫৬ রান। প্রথম ইনিংস শেষে লঙ্কানদের চেয়ে তারা পিছিয়ে ছিল ৯২ রানে। দ্বিতীয় দিন শুরু থেকেই ইতিবাচক ব্যাট চালিয়েছেন তাইজুল। অন্যপ্রান্তে মাহমুদুল হাসান জয়কে অবশ্য বেশ সংগ্রামই করতে হয়েছে লঙ্কান পেসারদের বিপক্ষে। তার সেই সংগ্রামের ইতি টানেন লাহিরু কুমারা। ইনিংসে প্রথমবার বোলিং করতে এসেই জয়ের উইকেট তুলে নেন কুমারা। দ্বিতীয় স্লিপে থাকা ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের ফেরেন জয়। ৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিন মাত্র ৩ রান যোগ করতে পেরেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

জয়ের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন শাহাদাত হোসেন দিপু। শুরুটা ভালো করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এই ব্যাটার। কুমারার বলে তিনিও ক্যাচ দেন স্লিপে। ২৬ বলে ১৮ রান করেছেন দিপু। ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়ার পর এদিন প্রথম ব্যাট করতে নামেন লিটন। শুরুটা দারুণ করেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৪৩ বলের ইনিংসে প্রতিপক্ষকে তেমন কোনো সুযোগই দেননি। তবে লাহিরু কুমারার দুর্দান্ত এক বলে শেষমেশ বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় তাকে।

এক প্রান্তে নিয়মিত উইকেট হারালেও অন্যপ্রান্ত ধরে রেখেছিলেন তাইজুল। রাজিথার বলে ভাঙে সেই প্রতিরোধ। ৪৭ রান করে আউট হন তাইজুল। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটাই তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে একবার ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তাইজুলের বিদায়ের পর হাল ধরতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। ১১ রান করে তিনিও ফেরেন রাজিথার বলে। নবম উইকেটে খালেদ আহমেদ এবং শরিফুল ইসলাম মিলে ৪০ রানের জুটি গড়েন। এই জুটি ভাঙার পর আর ১ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ। ২২ রান করেছেন খালেদ আর শরিফুল ফিরেছেন ১৫ রান করে। বাংলাদেশ করে ১৮৮ রান।



আরো পড়ুন