দিনাজপুরের হিলিতে আবারও বেড়েছে আলুর দাম। প্রতিকেজিতে দাম বেড়েছে প্রকারভেদে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। ২৫ টাকা কেজি দরের আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। আর ৩০ টাকা কেজি দরের আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। ক্রেতারা বলছেন, ১ সপ্তাহ ব্যবধানে আলুর দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। অনেকে আলু কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। বিক্রেতরা বলছেন, শুধু হিলিতে নয়। আশপাশের সব উপজেলাতেই কমবেশি বেড়েছে আলুর দাম।
সোমবার (২৫ মার্চ) হিলি কাঁচা বাজারে এসেছেন মো. আলেফ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমি স্বল্প আয়ের মানুষ। প্রতিদিন বাজার করি। যেদিন যেমন আয়, তেমন ব্যয় করি। কিন্তু বাজারে অন্য সবজির দাম কমলেও বেড়েছে আলুর দাম।’
আলেফ উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমি কাঠিলাল (লম্বা) জাতের আলু কিনি। প্রতিদিন ১ কেজি করে আলু লাগে আমার। কিন্তু সেই আলুর দামও কেজিতে ৫ টাকা করে বেড়েছে। গেলো সপ্তাহে (১৯মার্চ) প্রতিকেজি আলু কিনি ২৫ টাকা কেজি । আর আজ কিনতে হলো ৩০ টাকা কেজি দরে।’
আরেক ক্রেতা মো. ইনছান আলী বলেন, ‘আলু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। যেকোনো তরকারিতে আলুর প্রয়োজন হয়। সেই আলুর দাম আবারও বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিকেজিতে গোল আলুর দাম বেড়েছে ১০ টাকা করে। ৩০ টাকা কেজি দরের আলু বিক্রি হচ্ছে ১ সপ্তাহের ব্যবধান ১০ বেড়ে ৪০ টাকা কেজি দরে।’
ইনছান আলী আরও বলেন, ‘আলু ছাড়াও অন্যান্য সবজির দাম মোটামুটি স্বাভাবিক আছে। তবে শঙ্কায় আছি পেঁয়াজ নিয়ে। যদিও এখনো দাম বাড়েনি। ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় দাম এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটাই দেখার বিষয়। না বাড়লে তো ভালো।’
আলু বিক্রেতা মো. জাহিদ হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আলুর দাম কিছুটা বেড়েছে। আমরা যেখান থেকে আলু আনি। সেখানেই কেজিতে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা করে। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আগে যে আলু বিক্রি করেছি ২৫ টাকা কেজি । এখন বিক্রি করছি ৩০ টাকা কেজি। আর ৩০ টাকা কেজি দরের আলু বিক্রি করছি ৪০ টাকা কেজি দরে। কিনতে বেশি পড়লে আমাদের কী করার আছে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/