১৯ মে ২০২৪, রবিবার



নিত্যপণ্যের মজুতদারদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ২৩ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
নিত্যপণ্যের মজুতদারদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি


নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুতদারি ও বাজার কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এসব অপকর্মের হোতাদের কাজের জন্য কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্বকালে দেওয়া সূচনা ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো পণ্য মজুত করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আমরা তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিবো এবং প্রয়োজনে তাদের কারাগারে পাঠানো হবে।’

নির্বাচনের পরপরই (নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের) আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধি অত্যন্ত অস্বাভাবিক উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারা কারসাজি করছে তা খুঁজে বের করা অপরিহার্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেবল তাদের খুঁজে বের করলেই হবে না, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও নিতে হবে। আমরা ভবিষ্যতে তাই করবো।’ 

প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান, যেন কেউ খাদ্যদ্রব্য মজুদদারি ও কালোবাজারি করে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য নিয়ে খেলা খেলতে না পারে। তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যদ্রব্য নিয়ে খেলা খেলার কোনো মানে নেই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা একান্তভাবে দরকার। কেউ কেউ ভেবেছিল ইলেকশন হবে না এবং সে ধরনের প্রচার প্রপাগান্ডা ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছিল নির্বাচনের আগে। মানুষকে দ্বিধাগ্রস্ত করে দেওয়ার জন্য।’ তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনগণকে সাধুবাদ ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। কেননা এদেশের সাধারণ মানুষ বা ভোটাররা ওই সব কথায় কোনো কান দেয়নি।’ 

‘ভোট কেন্দ্রে যাবেন না বা ভোটে অংশ নেবেন না’ বলে তারা লিফলেটও বিলি করেছে। তাতেও মানুষ কিন্তু সাড়া দেয়নি। লিফলেট হয়তো হাতে নিয়েছে এটা ঠিক, কিন্তু ভোট দেওয়ার সময় তারা ভোটকেন্দ্রে ঠিকই হাজির হয়েছে। জনগণের অংশগ্রহণেই একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবার নতুনভাবে আমাদের যাত্রা শুরু। আমাদের সামনে এখন অনেক কাজ। 

২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি'র দুঃশাসন ও জঙ্গিবাদের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮-এর নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট মাত্র ৩০টি আসন এবং আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩ টি আসনে বিজয়ী হয়। আর সে নির্বাচনে কেউ প্রশ্ন তোলেনি এবং সেই নির্বাচনি প্রমাণ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক শক্তি বলতে কেবল আওয়ামী লীগই এবং এটা আমাদের সাধারণ মানুষ কিন্তু উপলব্ধি করে।’ 

/ঢাকা বিজনেস/



আরো পড়ুন