টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কতটা আগ্রাসী ওয়েস্ট ইন্ডিজ; সেটা কম বেশি সকলেরই জানা। টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্র্যান্ড। যে কারণে গোটা বিশ্বেই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দলটি। সেই দলটির বিপক্ষেই এবার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে লড়বে বাংলাদেশ। আগামীকাল থেকে শুরু হবে যেই সিরিজ।
তবে ভয়ডরহীন ক্রিকেটে যেমন দাপুটে জয় পাওয়া যায়, তেমনি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার শঙ্কাও থাকে। যেটা ইতোপূর্বে বহুবার ঘটেছে। তাছাড়া সেন্ট ভিনসেন্টের কিংস্টন আর্নেস ভ্যালে গ্রাউন্ডে হতে যাওয়া এই সিরিজের আগে এই মাঠের অতীত পরিসংখ্যান নিয়েও ভাবতে হবে স্বাগতিকদের।
এই মাঠের অতীত পরিসংখ্যান বলছে- এখানে কখনোই খুব বেশি আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার সুযোগ নেই। এই মাঠে এখন পর্যন্ত দলীয় সর্বোচ্চ ১৫৯ রান হয়েছে। আর সেই রানটা বাংলাদেশেরই। সবশেষ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাংলাদেশ যা করে। আর এই মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ পুঁজি ১৫২। যে কারণে এই মাঠে ভয়ডরহীন ক্রিকেটের চেয়ে বরং স্মার্ট ক্রিকেটেই বেশি জোর ক্যারিবীয় অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলের।
প্রথম ম্যাচের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে বলেন, মূল ব্যাপার হলো ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলা। যখন আমরা ভয়ডরহীন থাকব, কিছুটা স্মার্টনেসও মেশাতে হবে আমাদের। গত ১৫ মাস বা এই সময়ে আমরা বড় পদক্ষেপ নিয়েছি। সেই ধারা আমরা ধরে রাখতে চাই।
পাওয়েল আরও বলেন, খুবই গুরুত্বপূর্ণ (বছরটি ভালোভাবে শেষ করা)…। টি-টোয়ন্টি ক্রিকেটে এই বছরটি আমাদের জন্য ছিল মিশ্র। কিছু সিরিজ আমরা জিতেছি, কিছু হেরেছি। এই বাংলাদেশ সিরিজ আমাদেরকে সুযোগ করে দিচ্ছে বছরটি ভালোভাবে শেষ করার।
বাংলাদেশকে দাপট দেখাতে চায় জানিয়ে পাওয়েল বলেন, কোনো দল যখনই ঘরের মাঠে খেলে, সবসময়ই দাপট দেখাতে চায়। আমরা সেই চেষ্টাই করে যাব। আমাদের জন্য ব্যাপারটি হলো ভালো ক্রিকেট খেলা এবং লম্বা সময় ধরে ভালো খেলে যাওয়া।
এই মাঠে লো স্কোরিং ম্যাচ হলেও এবার ভিন্ন কিছু হবে বলে আশা করছেন পাওয়েল। তার মতে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি থেকে উইকেট এবার পুরোপুরি ভিন্ন মনে হচ্ছে। আশা করি, কালকেও উইকেট ভালো থাকবে এবং উইকেট ভালো থাকা মানে ভালো ক্রিকেট খেলার সুযোগ। আশা করি, সেন্ট ভিনসেন্টের মানুষ মাঠে এসে আমাদেরকে সমর্থন করবেন সিরিজজুড়েই।