আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে দুর্দান্তভাবে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু নিজেদের পরের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারের স্বাদ পেলো বাংলাদেশ। সোমবার ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৬৪ রান করে ইংল্যান্ড। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৮.২ ওভারে ব্যাটিং ব্যর্থতায় টাইগারদের ইনিংস থামে ২২৭ রানে। এতে ১৩৭ রানের বড় জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড।
টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সাকিব। কিন্তু তার এ সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল তা প্রথম পাওয়ার প্লেতেই টের পায় বাংলাদেশ। দলীয় ১১৫ রানের সময় বেয়ারেস্টোকে বোল্ড করেন সাকিব। তার আগে বেয়ারেস্টো ৫৯ বলে ৮ চারের সাহায্যে ৫২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মালান-জো রুটের সঙ্গে ১৫১ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ২৬৬ রানে মালানকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন শেখ মেহেদী। মালানের ১৪০ রানের ওপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৬৪ রান করে ইংল্যান্ড।
লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই রিস টপলির বলে জনি বেয়ারস্টোর তালুবন্দী হন তামিম। আউট হওয়ার আগে ১ রান করেন।
এরপর উইকেটে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে রানের খাতা খোলার আগেই ক্যাচি আউট হন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। দলের হাল ধরতে বাইশ গজে আসেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনিও ১ রান করে সাজঘরে ফিরেন।
নিয়মিত বিরতিতে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। তবে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৬২ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে লিটন। একই সঙ্গে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১১তম ফিফটিও তুলে নেন টাইগার ওপেনার।
অবশ্য সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে ক্রিস ওকসের বলে আউট হন লিটন। আউট হওয়ার আগে ৭৬ রান করেন এ ডানহাতি ব্যাটার।
পরে হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নেন অভিজ্ঞ মুশফিক। এসময় তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৪৭তম ফিফটি । অবশ্য ফিফটির ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। আউট হওয়ার আগে করেন ৫১ রান।
ইংলিশ বোলারদের বিপক্ষে লড়াই করেন হৃদয়। কিন্তু তিনিও আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। লিভিংস্টোনের বলে বাটলারের তালুবন্দী হন তিনি। এর আগে দুই বাউন্ডারিতে ৩৯ রান করেন হৃদয়। শেষ পর্যন্ত টাইগারদের ইনিংস থামে ২২৭ রানে।