১৮ মে ২০২৪, শনিবার



এক ব্রিজের অভাবে ১০ গ্রামের ভোগান্তি

জামাল হোসেন বাপ্পা, বাগেরহাট || ০৬ অক্টোবর, ২০২৩, ০১:১০ পিএম
এক ব্রিজের অভাবে ১০ গ্রামের ভোগান্তি


বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় একটি ব্রিজের অভাবে ভোগান্তিতে পড়েছেন ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।  স্থানীয়রা বলছেন, তারা চণ্ডিপুর গ্রামের দাউরা খালের ওপর সুপারি গাছ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি সাঁকোটি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। এদিকে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে, বরাদ্দ না থাকায়  ব্রিজ তৈরি করা যাচ্ছে না।

সরোজমিনে দেখা গেছে, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম চণ্ডিপুর। স্থানীয়রা বলছের, এই গ্রামের দাউরা খালের ওপর একসময় একটি আয়রন ব্রিজটি ছিল। সেটি ভেঙে গেছে প্রায় ৪ বছর আগে। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার পর স্থানীয়রা সুপারি গাছ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে ব্যবহার করছিলেন। যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ওই সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই ব্রিজই ব্যবহার করতেন। চণ্ডিপুর, পূর্ব চণ্ডিপুর, বড় জামুয়া, ছোট জামুয়া, কাছিকাটা, চড়গোপালপুরসহ ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এই সাঁকো ব্যবহার করতেন। তবে গত একমাস আগে সাঁকোটি পুরোপুরি ভেঙে যায়। এরপর থেকে নৌকায় খাল পার হচ্ছেন স্থানীয়রা। ফলে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে স্কুল ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা।  

চণ্ডিপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থী আমেনা খাতুন বলে, ‘এই ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় আমাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। নৌকায়  খাল পার হওয়ার সময় আমাদের ভয় লাগে। কিছুদিন আগে আমাদের এক বন্ধু নৌকা থেকে পড়ে যায়। পরে নৌকার মাঝি তাকে উদ্ধার করে।’

একই গ্রামের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সজিব জোমাদ্দার বলে, ‘অনেক সময় আমরা নৌকা পায়ই না। তখন বাধ্য হয়ে খাল সাঁতরে পার হতে হয়।’

পূর্ব চণ্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা আসলাম শেখ বলেন, ‘এই ব্রিজটির জন্য আমাদের আশপাশের ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চড়ম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার পর আমরা চাঁদা তুলে সুপারি গাছ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে ব্যবহার করে আসছিলাম।  কিন্তু প্রায় একমাস ধরে সেটাও ভেঙে গেছে। এখন  নৌকা ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ নেই।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জামাল শেখ বলেন, ‘দাউরা খালের ওপর ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে পড়ে আছে। আমি বিষয়টি চেয়ারম্যান, ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছি। কিন্তু কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। এই ব্রিজটির জন্য হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। আমি সরকারের কাছে দাবি জানাই যেন দ্রুত এখানে ব্রিজটি তৈরি করা হয়।’

বাগেরহাট স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরিফুজ্জামান বলেন, ‘নতুন করে ব্রিজ তৈরির জন্য আমাদের পক্ষ থেকে মাটি পরীক্ষাসহ আনুষঙ্গিক কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে অর্থ বরাদ্দ না থাকায় তৈরি করা যাচ্ছে না। বরাদ্দ পেলে আগামী অর্থবছরে  ব্রিজ তৈরি করা হবে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই



আরো পড়ুন