২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



ট্রাকে-পিকআপে ঘরে ফিরছে মানুষ

আব্দুল্লাহ আল নোমান, টাঙ্গাইল || ২৭ জুন, ২০২৩, ১২:০৬ পিএম
ট্রাকে-পিকআপে ঘরে ফিরছে মানুষ


মাত্র দুইদিন পরেই ঈদুল আজহা। ফলে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সড়কপথে উত্তরবঙ্গের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধুসেতু মহাসড়ক। ফলে এ মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যাও বেশি। ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে আগের তুলনায় এই সড়কে চাপও বেশি। তবে, স্বস্তির কথা হচ্ছে যানবাহনের সংখ্যা বাড়লেও স্বাভাবিক রয়েছে মহাসড়ক। 

সরেজমিনে দেখা যায়, ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেল ও মুরগির খাঁচার ওপর বসে দুর্ঘটনার ঝুঁকি ও ভোগান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ। পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশুদেরও ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি যেতে দেখা গেছে। পাশাপাশি শত শত মানুষ গন্তব্যস্থলের জন্য মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।


তবে, মহাসড়কে যে-কোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, থানা পুলিশ এবং ট্রাফিক পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে। 

আরও দেখা যায়, মহাসড়কে আগের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনের সংখ্যা বেশি। বাসের পাশাপাশি চাপ রয়েছে ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপ, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের। এসব যানবাহনে গাদাগাদি করে মানুষ যাচ্ছে। আবার সিএনজি বা ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় ভেঙে ভেঙে চলাচল করছে মানুষ। বিশেষ করে যাত্রীরা বাস না পেয়ে ঝুঁকি নিয়েই ট্রাক ও পিকআপে বাড়ি ফিরছেন।  

এদিকে, ঈদযাত্রায় মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে রোড শো করেছে বিআরটিএ সার্কেল টাঙ্গাইল বিভাগ। সোমবার বিকালে মহাসড়কের এলেঙ্গায় বিআরটিএ জেলা শাখার সহকারী পরিচালক আলতাব হোসেনের নেতেৃত্বে এ রোড শো করা হয়। 

যাত্রীরা বলেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও মহাসড়কে কাঙ্ক্ষিত বাস পাইনি। আবার দু’একটি বাস পাওয়া গেলেও ভাড়া চাচ্ছে দ্বিগুণ। তাই বাধ্য হয়েই ট্রাক ও পিকআপে করে কম খরচে বাড়ি ফিরছি। ঝুঁকি হলেও বাধ্য হয়েই আমাদের যেতে হচ্ছে।


এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় যাত্রী শহীদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি নাটোর বনপাড়ায় ঈদ করার জন্য যাবো। ১ ঘণ্টার বেশি সময় মহাসড়কে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কিন্তু কোনো পরিবহন পাচ্ছি না। এদিকে বাস ভাড়াও বেশি চাচ্ছে। আমাদের দুর্ভোগের সীমা নেই।’ 

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফেরার বিষয়টি লক্ষ করেছি। যেখানে থেকে যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে উঠছেন, সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবুও পুলিশ সর্তক অবস্থানে রয়েছেন। মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। যে-কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’  

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন