২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



হিলিতে বেড়েছে কম্বলের চাহিদা

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ০৪ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৫:৪৫ পিএম
হিলিতে বেড়েছে কম্বলের চাহিদা


উত্তর জনপদে বইছে মৃদ শৈত্যপ্রবাহ। সেইসঙ্গে হাড় কাঁপানো শীত। তাই শীতবস্ত্র কিনতে বিভিন্ন জায়গা থেকে হিলিতে আসছেন ক্রেতারা। এবার হিলির মার্কেটগুলোতে ভারতীয় ও চায়না কম্বলের বেচাকেনা বেড়েছে। হিলি বাজারের গার্মেন্টস ও বস্ত্রালয়গুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। 

কথা হয় বগুড়া থেকে হিলিতে কম্বল কিনতে আসা মো. সৈকত আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‌‘লেপ বানানোর চেয়ে কম্বল কেনাই ভালো। তাই কম্বল কিনতে আসা। বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে দেখছি। পছন্দ হলে কিনবো।’ 

দিনাজপুর থেকে কম্বল কিনতে আসা আব্দুল গফুর বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে দিনাজপুরে প্রচণ্ড শীত পড়েছে। লেপগুলো পুরনো হয়ে গেছে। নতুন শীতবস্ত্রের প্রয়োজন। শুনেছি হিলিতে ভালো কম্বল পাওয়া যায়। কম্বল পছন্দ হচ্ছে। কিন্তু দাম তুলনামূলক বেশি। ফ্যামিলিসহ এসেছি। বাজেটের মধ্যে হলে কিনবো। হিলিতে চায়না কম্বলের দাম হাঁকছেন ২০০০ টাকা আর ভারতীয় কম্বলের দাম হাঁকছেন ৪০০০ টাকা। দামটা একটু বেশি মনে হচ্ছে। তারপরও দেখি কী করা যায়।’

হিলি বাজারের লাবণ্য ফ্যাশনের মালিক মো. আনারুল ইসলাম বলেন, ‘গেলো বছরের চেয়ে এ বছর কম্বলের চাহিদা বেশি। স্থানীয় ছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা হিলিতে আসছেন কম্বল কিনতে। আমরা সীমিত লাভ রেখে বিক্রি করছি। চায়না কম্বল ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা আর ভারতীয় কম্বল ৩৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি। বেচাকেনা মোটামোটি ভালো হচ্ছে।’ 


ললো ফ্যাশনের মালিক জয়ন্ত ললো বলেন, ‘আমাদের ব্যবসা মূলত মৌসুমী ব্যবসা। শীত মৌসুমে একটু বেচাকেনা ভালো হয়। তবে এবার কম্বলের চাহিদা তুলনামূলক বেশি। পাশাপাশি শিশুদের গরম পোশাক বিক্রিও বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা হিলিতে আসছেন শীতবস্ত্র কিনতে।’ 

বাংলাহিলি খাসমহল হাটবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আরমান আলী প্রধান ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘হিলিতে শীতবস্ত্রসহ বিভিন্ন পণ্য কিনতে আসা ক্রেতাদের নিরাপত্তায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেওয়া আছে। ক্রেতারা যেন কোনো প্রকার হয়রানীর শিকার না হন।’ 

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন