ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আনন্দবাজার আড়তে নদী ও সামুদ্রিক মাছের সংকট থাকায় বাড়ছে চাষের মাছের চাহিদা। বিশেষ করে কার্প জাতীয় মাছের মধ্যে রুই, কাতল, গ্রাস কার্প ও মৃগেলের আমদানি বেশি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাছের দাম চড়া হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আনন্দবাজার মাছের আড়ত কাকঢাকা ভোর থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম হয়ে ওঠে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বড় ও মাঝারি আকারের কার্প জাতীয় মাছ রুই, কাতল, গ্রাস কার্প ও মৃগেলের আমদানি হয় এই বাজারে। জেলার নদী-নালা ও খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় জেলার পুকুর, দিঘি থেকেও ছোট-বড় দেশি মাছের সরবরাহ হচ্ছে বাজারে৷
চাষের মাছ সরবরাহ বাড়ার পরেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব দেশি মাছ। ক্রেতারা বলছেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছের সরবরাহ থাকলেও দাম ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
মাছ চাষি ও পাইকারি ক্রেতারা বলছেন, ‘মাছের খাদ্যসামগ্রীর দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় মাছের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এতে বাজারে মাছের দাম বাড়ছে। তবে চাহিদার তুলনায় বাজারে জোগান কম। তাই থাকায় সব মাছে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে দেশি মাছ সরবরাহ না থাকলেও চাষের মাছের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। তবে মাছের খাদ্যসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে প্রভাব পড়েছে। তাই মাছের দাম একটু বেশি। তারা আরও জানান, বাজারে মাঝারি আকারের কাতল মাছ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, কার্প মাছ প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, রুই প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, গ্রাস কার্প প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, মৃগেল প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চাষের পাবদা প্রতি কেজি ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা ও চাষের বড় টেংরা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়, চিংড়ি মাছ প্রতি কেজি ১০০০ থেকে ১০৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আনন্দবাজার বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুর রহমান ও খলিল মিয়া বলেন, ‘এ বাজারে সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী অঞ্চল থেকে চাষের মাছ আসে। তবে বাজারে মাছ থাকলেও দাম বেশি। এতে অনেক ক্রেতা ফিরে যাচ্ছেন।’
ঢাকা বিজনেস/আজহার/ এনই/