২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার



৭০-এ ববিতা

বিনোদন ডেস্ক || ৩০ জুলাই, ২০২৩, ০৬:৩৭ এএম
৭০-এ ববিতা


চলচ্চিত্র অঙ্গনে ববিতা বলে পরিচিত হলেও পুরো নাম ফরিদা আক্তার পপি। বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিনি, প্রযোজকও বটে। অভিনয় দক্ষতা, বাচনভঙ্গি, মিষ্টি হাসি আর চাহনিতে অনেকের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। আজ রোববার (৩০ জুলাই) এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। 

১৯৫৩ সালের আজকের এই দিনে বাগেরহাট জেলায় জন্ম নেন। তার বাবা নিজামুদ্দীন আতাইয়ুব একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। মা জাহানারা বেগম ছিলেন একজন চিকিৎসক। বাবার চাকরি সূত্রে তারা তখন বাগেরহাটে থাকতেন। তবে তার পৈতৃক বাড়ি যশোর জেলায়। শৈশব ও কৈশোরের প্রথমার্ধ কেটেছে যশোর শহরের সার্কিট হাউজের সামনে রাবেয়া মঞ্জিলে। 

তিনি পড়াশোনা করেছেন যশোর দাউদ পাবলিক বিদ্যালয়ে। সেখানে পড়া চলাকালেই বড়বোন সুচন্দার চলচ্চিত্রে প্রবেশের সূত্রে পরিবার সহ চলে আসেন ঢাকায়। 

বড়বোন সুচন্দা অভিনীত জহির রায়হানের 'সংসার' চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে ববিতার আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৬৮ সালে। তবে, ছবিটি মুক্তি পায়নি।  ১৯৬৯ সালে শেষ পর্যন্ত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন প্রথম নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ৭০'-এর দশকে শুধুমাত্র অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি গোটা দশকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর একে একে উপহার দেন দর্শকপ্রিয় বহু সিনেমা।

ববিতার চলচ্চিত্র কর্মজীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একই নামের একটি অসমাপ্ত উপন্যাস অবলম্বনে পরিচালিত অশনি সংকেত (১৯৭৩)। সিনেমাটি নির্মান করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। এই চলচ্চিত্রে 'অনঙ্গ বৌ' চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক শিল্পীর মর্যাদা লাভ করেন। চরিত্রটির জন্য ব্যাপক প্রশংসিত হন তিনি। 'বাঁদী থেকে বেগম', 'হাছন রাজা', 'রামের সুমতি', 'পোকামাকড়ের ঘর বসতি', 'গোলাপি এখন ট্রেনে' তার উল্লেখযোগ্য সিনেমা। 

চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অনেক সরকারি ও বেসরকারি পুরস্কার পেয়েছেন ববিতা। বলিউডে কাজ করা প্রথম বাংলাদেশি অভিনেত্রী তিনি। এখনো তার ফ্যাশনে রুচিশীলতার প্রমাণ মেলে। ধরে রেখেছেন নিজের অভিনয় সত্ত্বা।

ঢাকা বিজনেস/এন/   



আরো পড়ুন