২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার



এফবিসিসিআই নির্বাচন

আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলেজেন্সি-শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ৭ দফা

নিজস্ব প্রতিবেদক || ২৫ জুলাই, ২০২৩, ০১:৩৭ পিএম
আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলেজেন্সি-শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ৭ দফা


এবারের এফবিসিসিআই নির্বাচনে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলেজেন্সি (এআই) এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এআই ব্যবহার করে সারাবিশ্ব এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে। তার সঙ্গে তাল মেলাতে বাংলাদেশেও এর ব্যবহার বাড়াতে হবে। ওদিকে বেকার সমস্যা সমাধানে শিল্পায়ন তথা কর্মসংস্থানের কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং শিল্পায়ন এবং এইআই এর যথাযথ ব্যবহার বাড়াতে প্রয়োজন মেধাবী তরুণ নেতৃত্ব। তেমনি একজন মুখ মো. লোকমান হোসেন আকাশ। যিনি এ সেক্টরে অভিজ্ঞ। মেধাবী এই যুবক এবার সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের হয়ে পরিচালক পদে লড়ছেন।  তিনি নির্বাচনি ইশতেহারে নিয়ে এসেছেন ৭ দফা প্রস্তাবনা। 

পরপর দুই বার ২০১৯-২১ এবং ২০২১-২৩ মেয়াদে এফবিসিসিআইতে পরিচালক পদে কোনো নির্বাচন হয়নি। মনোনয়নের মাধ্যমে পুরনো এবং অযোগ্য প্রার্থীরা বছরের পর বছর পরিচালক পদ উপভোগ করছেন। ফলে প্রতিষ্ঠানটির কাজে এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। এবারো চেম্বার গ্রুপে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। তবে এ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ আলাদা প্যানেল দেয়ায় নির্বাচন করতে হচ্ছে। এদিকে সাধারন সদস্য বা জিবি মেম্বারগণ ভোট দিতে পারছেন বলে তারা বেশ উজ্জীবিত। আর তাই পূর্ন প্যানেলে জেতার আশা করছেন সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের প্রার্থীরা। আগামি ৩১ জুলাই আগারগাঁয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। এ গ্রুপের ব্যালট নাম্বার ২৪ থেকে ৪৬ পর্যন্ত। 

নির্বাচনে ৪৫ নম্বর ব্যালটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ভিসতা ইলেকট্রনিক্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লোকমান হোসেন আকাশ। বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স শিল্পের বিকাশে তিনি নেপথ্য নায়ক হিসেবে পলিসি মেকার এর কাজ করেছেন। পণ্য রপ্তানি, দেশীয় শিল্পস্থাপন এবং বিপণনে তিনি একজন পরীক্ষিত ব্যক্তি। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক ট্রেড পলিসি বিষয়ে তিনি বিশেষজ্ঞ। 

মো. লোকমান হোসেন আকাশ জানান, তিনি নির্বাচিত হলে কাজ করবেন এআই ভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের উপর জোর দিতে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প গড়ে রপ্তানি বাড়ানোর বিষয়ে মনোযোগ দেবেন। বেকার সমস্যার সমাধানে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে শিল্পায়নের কোনো বিকল্প নেই। ব্যাপকহারে শিল্প স্থাপনেই বাংলাদেশে অগ্রগতির মূলমন্ত্র। তিনি নিবিঢ়ভাবে কাজ করতে চান এসব ক্ষেত্রে। সেইসঙ্গে তরুণ শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার কাজেও মনোযোগ দিতে চান তিনি। 

লোকমানে হোসেন আকাশের নির্বাচনি ইশতেহারে ৭ দফা লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে-

১. এআই ভিত্তিক সেল গঠন করে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদে কাজ করা।

২. হাইটেক পার্ক/সিটিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য আলাদা তহবিল গঠন করা। 

৩. কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কমানো এবং রপ্তানিতে নগদ সহায়তা (ইনসেনটিভ) বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করা। 

৪. ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক অটোমোবাইল পণ্যের উৎপাদন এবং রপ্তানিবাজার সৃষ্টি করা।

৫. রপ্তানী বহুমূখীকরনে এফবিসিসিআইয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনী সেল গঠন করা। 

৬. এফটিএ (ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট) এর ওপর জোর দিয়ে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি ও তার বাস্তবায়ন। 

৭. শুল্ক আইন সংস্কারে কাজ করা। এফবিসিসিআইতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করে ভ্যাট, ট্যাক্স এবং আয়কর বিষয়ে পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া।

ঢাকা বিজনেস/এনই



আরো পড়ুন