২৯ জুন ২০২৪, শনিবার



অর্থনীতি
প্রিন্ট

প্রাইমারি মার্কেট সুস্থ থাকলে সেকেন্ডারিও সুস্থ থাকবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার || ২৬ জুন, ২০২৩, ১২:০৬ এএম
প্রাইমারি মার্কেট সুস্থ থাকলে সেকেন্ডারিও সুস্থ থাকবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান


বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেছেন, ‌‘প্রাইমারি মার্কেট সুস্থ থাকলে সেকেন্ডারি মার্কেট সুস্থ থাকবে। সেকেন্ডারি মার্কেট কখনোই একা ভালো চলতে পারে না। কারণ বাজারে তারল্যের বড় অংশই আসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। সেজন্য আমরা বন্ড মার্কেটেও জোর দিচ্ছি।’

রোববার (২৫ জুন) বিএসইসির কার্যালয়ে ‘শেয়ার মার্কেট ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (এসবিজেএ) নবগঠিত কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রাইমারি মার্কেটকে বাদ দিয়ে সেকেন্ডারি মার্কেটের উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে আমরা ইতোমধ্যে প্লেসমেন্ট বাণিজ্য বন্ধ করেছি। আইপিও’র ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে প্রো-রাটা পদ্ধতিতে শেয়ার বরাদ্দ দিচ্ছি। এতে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হচ্ছেন। পুঁজিবাজার খুবই স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে আমি, আপনিতো দূরের কথা, একজন অপরিচিত লোকও যদি গুজব রটিয়ে দেয়, তবে তা বাজারকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’

শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ‘নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে আমাদের কাজ হচ্ছে বাজার মনিটরিং করা। বাজার কখনো আমরা ঠিক করতে পারবো না। আমরা রেগুলেটর। আমাদের কাজ পলিসি সাপোর্ট দেওয়া। সেজন্য আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই কোম্পানিগুলোর কমপ্লায়েন্সে জোর দিয়েছি। যেন একটা কোম্পানি ভালো ব্যবসা করে রেগুলার ভালো ডিভিডেন্ড দিতে পারে। শুধু তাই নয়, আমরা স্টক ডিভিডেন্ডকে নিরুৎসাহিত করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। কারণ একটা কোম্পানি যদি ভালো ডিভিডেন্ড দেয় আর সেটা যদি হয় ক্যাশ ডিভিডেন্ড, তাহলে বিনিয়োগকারীরা খুশি হয় এবং নতুন বিনিয়োগে আগ্রহী হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা লো-পেইড আপ কোম্পানিগুলোর পেইড আপ বাড়ানোর বিষয়ে জোর দিয়েছি। একটা কোম্পানির শেয়ার ২০০০, ৩০০০ টাকা কীভাবে হয়? সে বিষয়টি বুঝতে হলে আগে দেখতে হবে ওই কোম্পানির ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের পরিমাণ কতো। এখন যেসব কোম্পানির ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের পরিমাণ কম তার দামতো বাড়বেই। এজন্য ডিমান্ড না সাপ্লাই কম থাকাটাই মূল কারণ।’

বিএসইসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই উৎপাদনে না থাকা কোম্পানিগুলোকে উৎপাদনে ফেরাতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। বিভিন্ন কোম্পানি অনুসন্ধানে আমরা দেখেছি, এসব কোম্পানির কোনো কার্যক্রমই নেই। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে কোম্পানির শেয়ার কার কার কাছে আছে, এ তথ্য যিনি লিপিবদ্ধ করেন বা যার কাছে থাকেন সেই রেজিস্ট্রারও নেই। মধ্যখান থেকে এই কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগকারীরাসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোও আটকে গেছেন। আমরা সেসব কোম্পানি নিয়ে কাজ করছি। এদের পুনরায় চালু করতে পারলে একদিকে বিনিয়োগকারীরা বেঁচে যাবেন। এদিকে লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান বাড়বে।’

এসময় এসবিজেএ’র সভাপতি হাসিব হাসান পুঁজিবাজার উন্নয়নে বর্তমান কমিশনের নানা উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বাজার উন্নয়নে বিএসইসির পাশাপাশি সংগঠনের পক্ষ থেকে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

ঢাকা বিজনেস/টি/এইচ



আরো পড়ুন