আষাঢ় ও পদ্যফোটা আলো
রাতের মধ্যমা জাগে মেঘের মন্থনে—
ছেঁড়া-ছেঁড়া সাদা মেঘ
চাঁদ পদ্যফোটা আলো...
দূর-অদূরের ঝলকমারি দুনিয়াদারি
বাদ্যিগানে বাজে ঘুমন্ত ঘুঙুর—
অবুঝ রাতের গাঁয়ে কত কানাকানি!
উৎসবের আয়োজন পাড়াময়
চাঁদমারি আকাশে কদম্ব ফোটে
চারপাশে সুগভীর কার ব্যথানীল—
বিভ্রমে আষাঢ়
গোলচাঁদ
গলে ঝরে
থেমে থেমে বিশুষ্ক বাতাসে...
মায়ায় ছায়ায় দুলে ওঠো
একরত্তি কালো,
চাঁদকে ডোবাও এসে—গাছের পাতায় মর্মরিত
ছেঁড়া-ছেঁড়া সাদা মেঘ
আর
চাঁদ পদ্যফোটা আলো
আষাঢ়ের মনস্তাপে হলে রাতকালো
সেরে নেয় ঋতুবতী জল ও জলজে
উত্থাপিত কবিতার পাঠ।
রোধন চিহ্ন শ্রাবণে
মধ্যদুপুরে রোধনচিহ্ন মাঠেঘাটে
সুর্য যায় গলে গলে আপনা আহ্লাদে
পরমার হিংসুটে সুখ পেতেছে ছায়ায়
গাছের পাতার সাথে কথা নেই বাতাসের
দূর মাঠে ঝিমধরা রোদের তাথই
মৌমাছির আছে সংবাদ পাঠের বিপুল
সংবেদন—
আপাতত শ্রাবণের কণ্ঠে উঠছে না বারিধারার সুমিষ্ট গান ঘনবরিষণ...
চোখ টাটিয়ে ঋতুর নিপল চুষে
হারমাদ মেঘ সবটুকু জলীয় নিমেষে নিয়ে চলে যাচ্ছে দূর
শালিকের দল কলঘাটে মিলেছে সমাবেশ ও মিছিলে
একদফা এক দাবি—
কে জানি কে কখন যাবি
ভীষণ হট্টগোল!
জাতিসংঘ যখন অক্ষমতার জাদুঘর
দিনের খবরে দিন, ঘামছে কপাল—
ইউয়ান ও ইয়েন বাজারেও আগুন আগুন;
লেগেছে গলন
ডলারের অগ্নিতীব্র তাপে;
ঈগলের নিশানায় ডানার কম্পনে
তন্ত্রসাধনায় মার খেতে বসেছে জামান...
আরব জাহান ক্ষত-বিক্ষত আগেই
কৃষ্ণ সাগর তীরেও সর্বগ্রাসী স্বার্থের ছোবল
ধিকিধিকি নিষ্ঠুরতা দিকে দিকে সুতীক্ষ্ণ আঁচড়ে
পারমাণবিক বিকিরণের প্রচ্ছদ আঁকে...
ডলার পোড়ানো আগুন উত্তাপে গলে গলে
ফতুর হওয়ার পথে সুগচ্ছিত হাতের টাকাও
পাশের এদেশ-ওদেশের রুপিয়া ও রুপি
রোগা-সোগা হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন পুষ্টির অভাবে
বিপণ্ন সময়—মহামারী আর যুদ্ধে
ডলার-রুবলে দেখি বেঁধেছে বড়াই
সপ্রতিভ সৌরভের গোলাপ এখন
মুঠোভরে ফুটে ওঠে গুরুতর স্বার্থের উল্লাসে...
মানবতাবাজিকর হারে তন্ত্রের বাজিতে
হারে মানুষের সভ্যসভা ঘরে
সংঘ হলে মানবিকঅক্ষমতার শেষ জাদুঘর
নিলামেও নেবে না কোনো ভাগ্যধর !