রোজা শুরু হতে না হতেই শসা ও বেগুন দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত। তবে, ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। শনিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, প্রতি কেজি দেশি শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে। হাব্রিড শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। অথচ ৫/৬ দিন আগেই দেশি শসা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা এবং হাইব্রিড ৬০ টাকায়। এদিকে, লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছ ১০০ টাকা। সব ধরনের গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। রোজা শুরুর আগে লম্বা বেগুন বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা প্রতি কেজি। আর গোল বেগুন ৬০ টাকা প্রতি কেজি।
ক্রেতারা বলছেন, এভাবে দাম বাড়তে থাকলে কিভাবে বাজার করবো। আগে ৭ দিনের নিত্যপণ্য কিনতে যে বাজেট লাগতো, এখন সেই বাজেট দিয়ে ৩ দিনের বাজার হয়। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে নিত্যপণ্যের দাম।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকায় টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে হতো ৪০ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজ একসপ্তাহ আগে ৩৫ টাকা থাকলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। টমেটো ৫০ টাকা, কাচামরিচ ১০০ টাকা, মূলা ৪৫ টাকা, করলা ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৭৫ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। আলুর দাম কেজিপ্রতি ২৫ টাকা, লেবু প্রতি হালি আকার ভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।।
সবজি বিক্রেতারা জানান, শসা ও বেগুনের দাম বেড়েছে। পাইকারি যে দামে কেনেন, তার চেয়ে ২০ টাকা বেশি দামে তারা বিক্রি করেন।
রাজধানীর বনানি কাঁচাবাজারে সবজি কিনতে এসেছেন মিশু। তিনি ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘সব জিনিসের দাম বেশি। বাজেট যা নিয়ে আসি বাজারে, তা দিয়ে চাহিদামতো পণ্য কিনতে পারছি না। নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। সবজির দাম তো বাড়ছেই, পাশাপাশি মাংস, মাছের দামও অতিরিক্ত বেড়েছে।’
এদিকে লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকা ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি বয়লার মুরগি বিভিন্ন বাজারে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪/৫ দিন আগে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সোনালি মুরগি ৩৭০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। কয়েকদিন আগে যা বিক্রি হয়েছে ৩৯০ টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১ হাজার ১০০ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে সাড়ে সাত শ টাকা প্রতিকেজি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজা শুরু হওয়ায় মুরগির চাহিদা কমে গেছে। বিক্রি কমে গেছে। বিশেষ করে রেস্তোরাঁ মালিকরা মুরগি কম কিনছেন। যে কারণে দাম কমেছে।
কাপ্তানবাজারের পাইকারি মুরগি ব্যবসায়ী মো. জুলহাস উদ্দিন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘মুরগির চাহিদা অনেক কমে গেছে। এখন কাস্টমাররা মুরগি কম কিনছেন। এ কারণে দাম কমে গেছে।’
এদিকে, মাছেরও দাম বাড়তি। প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, পাঙ্গাশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।
মিরপুর বড়বাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা ওয়াহিদ ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমরা বাড়তি দামে সবজি কিনি। যে কারণে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়। আগে যে পণ্য আনতে প্রতি ট্রাক ভাড়া লাগতো ১০ হাজার টাকা, এখন সেই একই ট্রাক ভাড়া লাগে ২০ হাজার টাকা। পরিবহন খরচ বেড়েছে। পণ্যের দাম তো বাড়বেই।’
কাওরানবাজারের পাইকারি বেগুন ব্যবসায়ী ফয়জুল্লাহ ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘রোজা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বেগুনের চাহিদা বেড়েছে। চাহিদা অনুযায়ী বাজারে বেগুনের সরবরাহ কম। তাই দাম বাড়তি।’