এ বছর রাজশাহী অঞ্চলে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার টন। এর বিপরীতে এখন পর্যন্ত মিলারদের সঙ্গে ৮৫ হাজার টন চাল ক্রয়ের চুক্তি করেছে খাদ্য দপ্তর। এর মধ্যে চাল সংগ্রহ হয়েছে ৭৫ হাজার টন।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানায় আঞ্চলিক খাদ্য দপ্তর। এসময় খাদ্য সংগ্রহের পরিমাণগত ও গুণগত মান সন্তোষজনক বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। দুপুরে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহর সভাপতিত্বে এতে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানরা তাদের নিজ নিজ দপ্তরের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক জানান, সারাদেশের ন্যায় রাজশাহী বিভাগেও করোনার চতুর্থ ডোজ চলমান রয়েছে। এ সময় তিনি নিপা ভাইরাস থেকে বাঁচতে খেজুরের রস না খাওয়ার পরামর্শ দেন।
সভায় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শীতকালীন ফসল উৎপাদনে এ বছর রাজশাহী বিভাগে ৩ লক্ষাধিক কৃষককে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। সরিষার উৎপাদন ৫০ শতাংশ বেশি হওয়ায় ভোজ্য তেলের চাহিদার কিছু অংশ স্থানীয়ভাবে পূরণ সম্ভব হবে বলে সভায় কৃষি বিভাগের পক্ষে আশা প্রকাশ করা হয়।
নির্মাণসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি পেলেও উন্নয়ন কাজ অব্যাহত আছে মর্মে এলজিইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়গুলোর মধ্যে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় সারাদেশে প্রথম হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনারকে সবার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান।
সভাপতির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নের সাফল্য বিভাগের সব দপ্তরের।
তিনি প্রতি সপ্তাহে অগ্নিনির্বাপণ বিষয়ক একটি করে মহড়া দেওয়া এবং একইসঙ্গে সাধারণ মানুষকে বাসা ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে ও অগ্নিকাণ্ডের সময় করণীয় সম্পর্কে সচেতন করতে ফায়ার সার্ভিসকে অনুরোধ জানান।
ঢাকা বিজনেস/এম