শুরু হয়েছে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। বুধবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর সন্নিকটে পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে এই মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বিকালে মেলা ক্রেতা দর্শনার্থীরা মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে থাকেন। অন্যান্য স্টল-প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখার পাশাপাশি ভিসতা ইলেকট্রনিক্স লিমিটেটের প্যাভিলিয়নে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা ভিড় করেন। এ সময় তারা ভিসতার টিভি, এসি, রেফ্রিজারেটর, গ্রাইন্ডারসহ হোম-কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের বিভিন্ন পণ্য দেখেন।
এই বছর ভিসতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অক্স ব্র্যান্ড। ভিসতা-অক্সের অবস্থান: #এ, প্যাভিলিয়ন # প্রিমিয়ার ৩৩।
ভিসতা’র উদ্যোক্তারা জানান, বিশ্বের সেরা মানের পণ্য উৎপাদন করছেন তারা। নতুন ব্র্যান্ড হিসেবে তাদের মূলমন্ত্র হচ্ছে কোয়ালিটি। শীর্ষ মানের পণ্য দিয়ে তারা ক্রেতাদের মন জয় করতে চান। তারা আরও জানান, ইলেকট্রনিক্স শিল্প বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত। এ ধরনের পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বিশ্বব্যাপী। সুতরাং বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের জন্য এটি হতে পারে বাংলাদেশের ট্রাম্পকার্ড। সেইসঙ্গে সরকার এ খাতে বিশেষ নজর দিলে ঘরে ঘরে শিল্পায়ন সম্ভব, সম্ভব বেরকারত্ব দূরীকরণ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, এবারের বাণিজ্য মেলায় বিশ্বের ৭টি দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠানসহ মেলায় থাকছে ৩৬২টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন। জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানকে প্রাধান্য দিয়ে হবে জুলাই চত্বর, ছত্রিশ চত্বর ও তারুণ্যের প্যাভিলিয়ন। ই-টিকিটের ব্যবস্থা থাকায় প্রবেশ পথে রয়েছে ভিন্ন ব্যবস্থা।
প্রথমবারের মতো অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল বা প্যাভিলিয়ন স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির ডেডিকেটেড বাস সার্ভিসের পাশাপাশি যুক্ত হচ্ছে বিশেষ ছাড়ে উবার সার্ভিস।
মেলায় সম্ভাবনাময় সেক্টর বা পণ্যভিত্তিক সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এ বছর। বিদেশি উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠানের সুবিধার্থে থাকছে স্বতন্ত্র সোর্সিং কর্নার, ইলেক্ট্রনিক্স ও ফার্নিচার জোন। বয়সভিত্তিক দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে প্রযুক্তি কর্নার, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সিটিং কর্নার। শিশুদের নির্মল চিত্তবিনোদনের জন্য মেলায় থাকছে শিশু পার্কও।
এছাড়া মেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের সম্মানার্থে তৈরি করা হয়েছে জুলাই চত্বর ও ছত্রিশ চত্বর। সঙ্গে দেশের তরুণ সমাজকে রফতানি বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধকরণে তৈরি করা হয়েছে ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন।
মেলা মাসব্যাপী সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।