এশিয়া কাপ ফুটবলের বাছাইয়ে লড়ছে স্বাগতিক ভারত এবং বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি কোনো দলই। দুটি সহজ সুযোগ পেয়েও নষ্ট করেছে বাংলাদেশ। ভারতও সমান সংখ্যাক সুযোগ নষ্ট করেছে। পালটাপাল্টি আক্রমণে প্রথম ৪৫ মিনিট শেষ হলেও বাংলাদেশ দলে ছিল বোঝাপড়ার অভাব। কোনো পরিকল্পিত আক্রমনে যেতে পারেনি তারা।
শিলংয়ের জহর লাল নেহেরু স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ম্যাচ শুরু হয়। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া একাদশে নেই। কেন নেই কারণ জানা যায় নি। তার জায়গায় তপু বর্মণ অধিনায়কত্ব করলেও ইনজুরি নিয়ে তাকে মাঠ ছাড়তে হয়। তার জায়গায় আসেন রহমত।
ম্যাচের প্রথম মিনিটেই রাইট আউট দিয়ে বক্সে ঢুকে যান মজিবর রহমান জনি। কিন্তু ফাকা জালেও বল জড়াতে ব্যর্থ হন। গোলমুখ ফাঁকা দিখে তিনি যেন কি করবেন বুঝতে পারছিলেন না। ন্যাশনাল লেভেলে এরকম প্লেয়ার কীভাবে খেলে দর্শক হিসেবে সে প্রশ্নই মাথায় আসে। ২০ নাম্বার জার্সিধারি জনি প্রথম মিনিটে যে সুযোগ নষ্ট করলেন তার মাশুল দিতে হবে বাংলাদেশ দলকে।
১২ মিনিটে আরেক ভুল করে বসে বাংলাদেশ। গোলকিপরাকে একা পেয়েও তার হাতে তুলে দেয়া হয় বল। ১৭ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে পাওয়া ভলি মাথা লাগাতে পারলেন না দুই বাংলাদেশী। হৃদয়কে মনে হয়েছে একেবারেই নিস্প্রভ।
অন্যদিকে ২৭ মিনিটে বাংলাদেশের কিপার মিতুলকে একা পেয়েও বল জালে নিতে পারলেন না ভারতের লস্টন কোলাচো। ৩০ মিনিটে দারুন এক সংঘবন্ধ আক্রমন করে ভারত। কিন্তু বল জাল খুঁজে পায়নি। বাংলাদেশ ততক্ষনে একটিও এরকম গোছানো আক্রমন করতে পারেনি। টিপিক্যাল সাউথ এশিয়ান ম্যাচের মতোই আরেকটি এলোমেলো দুবল ম্যাচ দেখা গেলো শিলংয়ে।
৪০ মিনিটে আবার সেই জনি। ভারতের কিপারকে একা পেয়েও বল কিছুই করতে পারলেন না।
অন্যদিকে ভারতের লেফট আউট ফারুখ বার বার ফাঁক গলে বেরিয়ে বিপদজনক হয়ে ওঠেন। সেখানে বাংলাদেশের রাইট ব্যাক খুব নড়বড়ে।
ভুল পাস, ভুল থ্রু। কোনো পরিকল্পিত আক্রমন নেই। বোঝাপড়া নেই। এভাবেই শেষ হলো প্রথশ ৪৫ মিনিট। দেখা যাক পরের ৪৫ মিনিটে কি হয়।
বাংলাদেশ একাদশ
মিতুল মারমা, তপু বর্মন (রহমত), তারিক কাজী, শাকিল তপু, সাদ উদ্দিন, মোহাম্মদ হৃদয়, মজিবর রহমান জনি, হামজা চৌধুরী, রাকিব হোসেন, শেখ মোরছালিন, শাহরিয়ার ইমন।
ভারত একাদশ
ভিশাল কাইথ, রাহুল ভেকে, শূভাশীষ বোস, সন্দেশ ঝিংগান, লিস্টন কোলাচো, ফারুখ চৌধুরী, উদান্ত সিং, সুনীল ছেত্রী, আয়ুশ ছেত্রী, আপুয়িয়া, বোরিস সিং।