নামমাত্র ব্যবহারের বিপরীতে শতভাগ ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়ায় ৬ তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অপচয় হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণে এই হিসাব উঠে এসেছে অর্থনীতির শ্বেতপত্রে। কমিটির সদস্য ম তামিম মনে করেন, চুক্তিগুলো করাই হয়েছিল অনৈতিক সুবিধা দিতে।
২০১৯ সালে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে প্যারামাউন্টের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন মেলে। দুইশ মেগাওয়াট ক্ষমতার ডিজেল চালিত এই কেন্দ্র থেকে কখনো কখনো প্রতি ইউনিটের জন্য সরকারকে ব্যয় করতে হয়েছে কয়েকশ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ চুক্তি করেও শুধু বসিয়ে রেখে দেয়া হয়েছে ক্যাপাসিটি চার্জ। ফলে পাঁচ বছরে অপচয় হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।
প্যারামাউন্টের বাইরে কেরানীগঞ্জ, আওরাহাটি, ব্রাহ্মণগাঁওসহ মোট ৬ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঘটেছে একই রকম ঘটনা। মোট এক হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার ওই কেন্দ্রগুলো থেকে ২০১৮ থেকে ২৩ পর্যন্ত ব্যবহার করা হয় সক্ষমতার সোয়া নয় শতাংশের কম। যার ফলে ওই পাঁচ বছরে মোট অপচয় হয়েছে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা।
শ্বেতপত্র কমিটির সদস্য ম তামিম মনে করেন, অনৈতিক উদ্দেশে রাজনৈতিক সুবিধা দেয়ার কারণে এসবের পুরোটাই হয়েছিল।
গেলো দেড় দশকে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতকে আওয়ামী সরকারের বড় সাফল্য হিসেবে দেখানো হলেও তার বড় অংশই এখন গলা কাঁটা। কারণ বহু বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন মিলেছে কেবল ব্যক্তিগত যোগসাজশে। ফলে অন্তত ৫ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা তৈরি করা হয়েছে প্রয়োজন না থাকার পরও। আর এসবের পেছনে দেড় দশকে বাড়তি বিনিয়োগ হয়েছে সাড়ে বিলিয়ন ডলার বা ৫৪ হাজার কোটি টাকা।
শুধু তাই নয় অলস কেন্দ্রের পেছনে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ১৫ বছরে ব্যয় হয়েছে অন্তত ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা।