টাঙ্গাইল শহরে যানজন নিরসনে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে যানজট নিরসনের জন্য কাজ করতে দেখা গেছে তাদের। ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন না করায় টাঙ্গাইল শহরে সড়কে যানবাহন চলাচলে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সুষ্টি হয়। এই অবস্থায় সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি কিছু গণমাধ্যমকর্মীও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কে অবস্থান নিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন শিক্ষার্থীরা। কারও হাতে লাঠি, কারও মুখে বাঁশি। ট্রাফিক পুলিশের মতো ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, সকাল থেকে জেলা শহরের কোথাও কোনো ট্রাফিক পুলিশ নেই। এতে চতুর্দিকে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। তাৎক্ষণিক শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবীরা জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানের দায়িত্ব নিয়েছেন। ট্রাফিক পুলিশ যে দায়িত্বটুকু পালন করে, তারাও সেটুকু পালন করছেন। যতক্ষণ না ট্রাফিক পুলিশ এখানে আসবে, ততক্ষণ তারা দায়িত্ব পালন করবেন। ট্রাফিক পুলিশ না এলে তাদের বিকল্প আরেকটি গ্রুপ প্রস্তুত আছে, তারা রাতে দায়িত্ব পালন করবে।
শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, ‘আমরা সকাল থেকেই পুরাতন বাস স্ট্যান্ডে অবস্থান করছি নিজ উদ্যোগে। যেন যানজট না হয়, সেদিকের খেয়াল রাখার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ।’
শহীদ শাহেদ হাজারী ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাদাত তালুকদার বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে গোটা শহরে কোনো ট্রাফিক পুলিশ নেই। এ অবস্থায় শহরবাসীকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব বোধ থেকে আমরা সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে নেমেছি। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে না আসা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এই কাজ চালিয়ে যাবো আমরা।’
পথচারী বছির উদ্দিন বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাস্তায় যানজট নিরসনের জন্য কাজ করছেন। এতে ভালো লাগছে। নতুন উদ্যোগে নতুন উদ্যমে দেশটি এগিয়ে যাক। বিগত দিনের মতো দিন আর যেন না আসে।’
রিকশাচালক মোতালেব মিয়া বলেন, ‘ছাত্ররা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন দেখে খুব ভালো লাগছে।’
উল্লেখ্য, সোমবার (৫ আগস্ট) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে টাঙ্গাইলে লাখো জনগণের ঢল নামে, বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ উল্লাসসহ মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায়।